ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 325
কিছু মানুষ সত্যে কোনো আনন্দ পায় না, বিচারে তো নয়ই। পরিবর্তে, তারা আনন্দ পায় ক্ষমতায় আর ধন-সম্পদে; এই ধরণের লোকদের বলে ক্ষমতা-সন্ধানী। এরা পৃথিবীতে শুধু সেই সব সম্প্রদায়ের সন্ধান করে যাদের প্রভাব আছে, আর সন্ধান করে শুধু সেই সব যাজক ও শিক্ষকদের যারা শিক্ষায়তন থেকে আগত। যদিও এরা সত্যের পথকে স্বীকার করেছে, কিন্তু এরা কেবল অর্ধ-বিশ্বাসী; এরা এদের হৃদয় ও মনের পুরোটা দিতে অক্ষম, এরা মুখে ঈশ্বরের জন্য নিজেকে ব্যয় করার কথা বলে, কিন্তু এদের চোখ স্থির-নিবদ্ধ থাকে মহান যাজক ও শিক্ষকদের প্রতি, খ্রীষ্টের দিকে ফিরেও তাকায় না। এদের হৃদয় নিবিষ্ট হয়ে আছে শুধু খ্যাতি, ঐশ্বর্য আর গৌরবে। এমন একজন ক্ষুদ্র মানুষ যে এত জনকে জয় করতে সক্ষম হতে পারে, এমন একজন বিশেষত্বহীন ব্যক্তি যে মানুষকে নিখুঁত করে তুলতে পারে, এরা তা ভাবতেই পারে না। এরা ভাবতেই পারে না ধুলো, গোবরগাদার মধ্যে জীবন-নির্বাহ-করা এই নগণ্য লোকগুলি ঈশ্বরের মনোনীত মানুষ হতে পারে। এরা বিশ্বাস করে, এ ধরণের মানুষগুলিই যদি ঈশ্বরের পরিত্রাণের লক্ষ্যবস্তু হতো, তাহলে স্বর্গ ও পৃথিবী ওলটপালট হয়ে যেতো, আর মানুষজন সব নির্বোধের মতো হাসতে থাকতো। এরা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর যদি এইসব নগণ্য মানুষদেরই নিখুঁত করে তোলার জন্য নির্বাচন করতেন, তাহলে ঐসব মহান লোকরা নিজেরাই স্বয়ং ঈশ্বর হয়ে যেতো। ওদের দৃষ্টিভঙ্গি অবিশ্বাসের দ্বারা কলুষিত; বিশ্বাস না-করার চেয়েও বড় কথা, এরা কেবল যুক্তিহীন পশু মাত্র। কারণ এরা শুধু পদমর্যাদা, সম্মান আর ক্ষমতাকেই মূল্য দেয়, আর সম্ভ্রম করে শুধু বড় বড় দল ও সম্প্রদায়কে। খ্রীষ্টের দ্বারা পরিচালিত ব্যক্তিদের প্রতি এদের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই; এরা নিছক সেই বিশ্বাসঘাতক মাত্র, যারা খ্রীষ্টের থেকে, সত্যের থেকে, আর জীবনের থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তুমি খ্রীষ্টের বিনয়ের কদর করো না, কদর করো উচ্চ পদমর্যাদায় আসীন ওই ভণ্ড মেষপালকদের। তুমি খ্রীষ্টের মাধুর্য বা বিচক্ষণতার ভজনা করো না, ভজনা করো ওই লম্পটদের যারা পৃথিবীর পাপপঙ্কে নিমগ্ন থাকে। যে খ্রীষ্টের মাথা রাখবার কোনো জায়গা নেই তাঁর বেদনায় তুমি উপহাস করো, কিন্তু তুমিই প্রশস্তি করো সেই সব শবদেহদের যারা উৎসর্গের তল্লাসে ঘুরছে আর ব্যভিচারমগ্ন জীবন যাপন করছে। খ্রীষ্টের পাশে দাঁড়িয়ে কষ্ট স্বীকারে তুমি ইচ্ছুক নও, অথচ তুমি সানন্দে ওই বেপরোয়া খ্রীষ্টবিরোধীদের হাতে নিজেকে অর্পণ করো, যদিও তারা তোমাকে কেবল দেহ, বাক্য আর নিয়ন্ত্রনেরই যোগান দেয়। এমনকী এই মুহূর্তেও তোমার হৃদয় এখনও ওদেরই অভিমুখী, ওদের খ্যাতির অভিমুখী, ওদের পদমর্যাদার অভিমুখী, ওদের প্রতিপত্তির অভিমুখী। আর এখনো তুমি এমন এক মনোভাব পোষণ করে চলেছো যে খ্রীষ্টের কার্যকে গলাধঃকরণ করা তোমার পক্ষে কষ্টসাধ্য মনে হয়, আর তাই তুমি তা স্বীকার করতে অনিচ্ছুক। এই কারণেই আমি বলি খ্রীষ্টকে স্বীকার করতে তোমার বিশ্বাসের খামতি আছে। আজ পর্যন্ত তুমি যে তাঁর অনুসরণ করেছো তার একমাত্র কারণ তোমার অন্য কোনো বিকল্প ছিল না। সুউচ্চ কিছু প্রতিচ্ছবির ধারাবাহিক পরম্পরা তোমার হৃদয়ে চিরকালের জন্য সমুন্নত হয়ে আছে; তুমি ওদের প্রতিটি কথা ও কাজ ভুলতে পারো না, ওদের প্রভাবশালী বাক্য ও হস্তের কথাও তুমি ভুলতে পারো না। তোমাদের হৃদয়ে ওরা সবসময় সর্বশ্রেষ্ঠ, সবসময় নায়ক। কিন্তু আজকের খ্রীষ্টের ক্ষেত্রে বিষয়টা এরকম নয়। তোমার হৃদয়ে তিনি সবসময় তুচ্ছ, সবসময় শ্রদ্ধাপ্রদর্শনের অযোগ্য। কারণ তিনি অত্যন্ত সাধারণ, তাঁর প্রতিপত্তি খুবই কম, এবং তিনি মোটেই দাম্ভিক নন।
আমি বলি যে, যে কোনো ক্ষেত্রেই, যারা সত্যকে মূল্য দেয় না তারা সবাই অবিশ্বাসী আর সত্যের প্রতি প্রতারক। এই ধরণের মানুষরা কখনো খ্রীষ্টের অনুমোদন লাভ করবে না। তোমার মধ্যে কতটা অবিশ্বাস, আর খ্রীষ্টের প্রতি কতটা বিশ্বাসঘাতকতা রয়েছে তুমি কি এখন তা নিরূপণ করতে পেরেছো? আমি তোমাকে এই উপদেশ দিই: যেহেতু তুমি সত্যের পথ বেছে নিয়েছো, তাই তোমার উচিৎ নিজেকে সর্বান্তঃকরণে উৎসর্গ করা; দ্বিধাগ্রস্ত বা অর্ধোৎসাহী হয়ো না। তোমার বোঝা উচিৎ যে ঈশ্বর সারা পৃথিবীর বা কোনো একজন মানুষের কুক্ষিগত নন, তিনি তাদের সবার যারা তাঁকে প্রকৃতই বিশ্বাস করে, তাদের সকলের যারা তাঁকে অর্চনা করে, আর তাদের সকলের যারা তাঁর প্রতি একনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, তুমি কি সত্যিকারের ঈশ্বরবিশ্বাসী?
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।