ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 324

এতক্ষণে ঈশ্বর-বিশ্বাসের প্রকৃত অর্থ তোমরা সকলেই নিশ্চয় প্রণিধান করতে পেরেছো। আগে ঈশ্বরে বিশ্বাস করার অর্থ বিষয়ে আমি যা বলেছিলাম, তা ছিল তোমাদের ইতিবাচক প্রবেশের সাথে সম্পর্কিত। আজ অন্য আলোচনা: আজ আমি তোমাদের ঈশ্বর-বিশ্বাসের সারসত্যকে বিশ্লেষণ করতে চাই। অবশ্যই, এটা এক নেতিবাচক দিক থেকে তোমাদের পথ দেখানো। আমি তা যদি না করতাম, তাহলে তোমরা কখনোই তোমাদের স্বরূপ জানতে পারতে না, আর চিরকাল নিজেদের ধর্মানুরাগ ও বিশ্বস্ততার ব্যাপারে দম্ভ করে যেতে। এটা বলা অন্যায় হবে না যে, আমি যদি তোমাদের হৃদয়ের গভীরে লুকানো কদর্যতাকে উন্মোচিত না করতাম, তাহলে তোমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ মস্তকে মুকুট স্থাপন করতে, আর সকল গরিমা নিজেদেরই কুক্ষিগত করতে। তোমাদের উদ্ধত ও অহংকারী প্রকৃতি তোমাদের চালনা করে নিজেদের বিবেককে প্রতারণা করতে, খ্রীষ্টের বিরোধিতা ও প্রতিরোধ করতে, আর তোমাদের কদর্যতাকে প্রকাশিত করতে। আর এইভাবে তোমাদের অভিপ্রায়, ধারণা, অসংযত বাসনা, আর লোভাতুর দৃষ্টি—সবই জনসমক্ষে উন্মোচিত হয়ে যায়। আর এর পরেও খ্রীষ্টের কার্যের প্রতি তোমাদের জীবনব্যাপী অনুরাগের বিষয়ে তোমরা প্রলাপ বকে যাও, আর যে সত্য খ্রীষ্ট বহুকাল আগে উচ্চারণ করে গেছেন বারংবার তার পুনরুক্তি করো। এই হলো তোমাদের “বিশ্বাস”—এই হলো তোমাদের “নিখাদ বিশ্বাস”। আমি বরাবর মানুষকে এক কঠোর মানদন্ডে বিচার করেছি। তোমার আনুগত্য যদি অভিসন্ধিমূলক ও শর্তসাপেক্ষ হয়, তবে তোমার সেই তথাকথিত আনুগত্যে আমার প্রয়োজন নেই, কারণ আমি তাদের ঘৃণা করি যারা তাদের অভিসন্ধির মাধ্যমে আমাকে প্রতারিত করে আর শর্তারোপের মাধ্যমে আমাকে দোহন করে। আমি শুধু চাই যে, মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমার অনুগত হবে, তার সকল কর্মের কারণ ও উদ্দেশ্য হবে একটিমাত্র শব্দকে সপ্রমাণ করা—“বিশ্বাস”। তোষামোদের মাধ্যমে আমাকে খুশি করতে চাওয়ার তোমাদের যে প্রচেষ্টা আমি তাকে ঘৃণা করি, কারণ তোমাদের প্রতি আমি সবসময় অকপট আচরণ করেছি, আর তাই আমি চাই তোমরাও আমার প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাসপূর্ণ আচরণ করো। যখন বিশ্বাসের কথা আসে, তখন অনেকে ভাবতে পারে তারা ঈশ্বরের অনুসরণ করে কারণ তাদের বিশ্বাস আছে, আর তা না হলে তারা এতো দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারতো না। তাহলে আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করি, তুমি যদি ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসই করো, তাহলে তাঁকে ভক্তি করো না কেন? যদি তুমি ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসই করো, তাহলে তোমার হৃদয়ে তাঁর প্রতি বিন্দুমাত্র শঙ্কা নেই কেন? তুমি স্বীকার করো যে খ্রীষ্ট ঈশ্বরের অবতার, তাহলে তাঁর অবমাননা করো কেন? কেন তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধ আচরণ করো? কেন খোলাখুলি তাঁর বিচার করো? কেন তুমি তাঁর গতিপ্রকৃতির উপর নজরদারি করো? তাঁর বন্দোবস্তে কেন নিজেকে সমর্পন করো না? তাঁর বাক্য অনুসারে আচরণ করো না কেন? তাঁর উৎসর্গ কেন গায়ের জোরে কেড়ে নিতে ও হরণ করতে সচেষ্ট হও? তুমি কেন খ্রীষ্টের অবস্থান থেকে কথা বলো? কেন তাঁর কর্ম ও বাক্যের যথার্থতা বিচার করো? তাঁর নেপথ্যে কিভাবে তাঁর নিন্দা করতে সাহস পাও? এগুলোই কি তোমাদের বিশ্বাসের নমুনা?

তোমাদের বাক্য ও আচরণের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টের প্রতি তোমাদের অনাস্থার উপাদানগুলিই প্রকাশিত হয়। তোমরা যা-কিছু করো তাদের অভিপ্রায় ও উদ্দেশ্যের মধ্যে পরিব্যপ্ত হয়ে থাকে তোমাদের অবিশ্বাস। এমনকী তোমাদের দৃষ্টির প্রকৃতির মধ্যে নিহিত থাকে খ্রীষ্টের প্রতি অনাস্থা। বলা যায়, তোমাদের প্রত্যেকে প্রতিটি মিনিটে অবিশ্বাসের উপাদানগুলিকে পোষণ করে চলেছো। এর অর্থ হলো, প্রতিটি মুহূর্তে, তোমরা খ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারো সে আশঙ্কা রয়েছে, কারণ তোমার শরীরের ভিতর দিয়ে যে রক্ত বয়ে চলেছে তা ঈশ্বরের অবতারের প্রতি অবিশ্বাস দ্বারা সম্পৃক্ত। এই কারণেই আমি বলি যে, ঈশ্বর-বিশ্বাসের পথে যে পদচিহ্ন তোমরা রেখে যাচ্ছো তা বাস্তব নয়; তোমরা যখন ঈশ্বরে বিশ্বাসের পথে হাঁটো, তখন তোমরা মাটির উপর যথেষ্ট দৃঢ়ভাবে পদস্থাপন করো না—তোমরা শুধু নিস্তেজ ভাবে হাঁটার গতি বজায় রেখে যাও। তোমরা খ্রীষ্টের বাক্যে কখনো পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস রাখো না, এবং বাক্যগুলিকে তৎক্ষণাৎ পালন করতে তোমরা অক্ষম। এটাই কারণ যার জন্য খ্রীষ্টে তোমাদের বিশ্বাস নেই। তাঁর প্রতি তোমাদের বিশ্বাসহীনতার আরেকটি কারণ হলো, সর্বদা তাঁর সম্বন্ধে একটি পূর্বধারণার বশবর্তী থাকা। চিরকাল খ্রীষ্টের কর্মের প্রতি সন্দেহপোষণ করা, খ্রীষ্টের বাক্যে কর্ণপাত না করা, খ্রীষ্টের সকল কার্য বিষয়ে অভিমত পোষণ করা, অথচ সেই কার্যকে সম্যকভাবে বুঝতে অক্ষম হওয়া, যে ব্যাখ্যাই তোমরা পাও না কেন তবু নিজেদের পূর্বধারণাকে দূরে সরিয়ে রাখতে ব্যর্থ হওয়া, ইতাদি সবকিছুই হলো অবিশ্বাসের উপাদান যা তোমাদের হৃদয়ে সম্পৃক্ত হয়ে আছে। তোমরা যদিও খ্রীষ্টের বাক্যকে অনুসরণ করো এবং কখনো পশ্চাৎপদ হও না, তবু তোমাদের হৃদয়ে বড় বেশী বিদ্রোহ-প্রবণতা মিশে আছে। তোমাদের ঈশ্বর-বিশ্বাসে এই বিদ্রোহই হলো একটি অশুদ্ধতা। হয়তো ব্যাপারটা যে এরকম তোমরা তা মনে করো না, কিন্তু তুমি যদি এর মধ্যে থেকে নিজের অভিপ্রায়কে শনাক্ত করতে অসমর্থ হও, তাহলে যাদের অবলুপ্তি ঘটবে তুমি নিশ্চিতভাবে তাদের একজন, ঈশ্বর শুধু তাদেরই নিখুঁত করে তোলেন যারা প্রকৃতই তাঁকে বিশ্বাস করে, তাদেরকে নয় যারা তাঁর প্রতি সন্দিগ্ধ, এবং তাদের তো নয়ই যারা অনীহ ভাবে তাঁর অনুগমন করে, অথচ তিনিই যে ঈশ্বর এই বিশ্বাস কক্ষনো পোষণ করে না।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, তুমি কি সত্যিকারের ঈশ্বরবিশ্বাসী?

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 20

বিধানের যুগের সময়, যিহোবা বহু সংখ্যক আদেশ নির্ধারণ করেছিলেন যাতে মোশি তা সেইসব ইস্রায়েলীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে, যারা তাকে অনুসরণ করে...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের স্বভাব এবং তিনি কে ও তাঁর কী আছে | উদ্ধৃতি 254

জীবনের গতিপথ কারও নিয়ন্ত্রণে থাকে না বা এটি সহজে অর্জন করতে পারার মতো বিষয়ও নয়। কারণ জীবন কেবল ঈশ্বর প্রদত্ত, অর্থাৎ, শুধুমাত্র ঈশ্বর নিজেই...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 135

বর্তমানে, বাস্তববাদী ঈশ্বর সম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান খুবই একপেশে, এবং ঈশ্বরের অবতাররূপ ধারণের তাৎপর্য সম্বন্ধে তাদের উপলব্ধি এখনও অতীব নগণ্য।...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অন্তিম সময়ের বিচার | উদ্ধৃতি 98

আমার রাজ্যের অগণিত সৃষ্টি পুনরুজ্জীবিত হতে শুরু করেছে এবং পুনরায় তাদের জীবনীশক্তি অর্জন করছে। পৃথিবীর অবস্থা পরিবর্তনের ফলে এক দেশ থেকে...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন