ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 319

তোমরা প্রত্যেকেই ঈশ্বরের কাছ থেকে পুরস্কৃত হওয়ার এবং তাঁর অনুগ্রহ লাভের আকাঙ্ক্ষা কর; ঈশ্বরে বিশ্বাসী হওয়ার প্রারম্ভ থেকেই তোমাদের মনে এই আশা জন্মায়, কারণ প্রত্যেকেই উচ্চতর বস্তুর সাধনায় নিমগ্ন থাকে এবং কেউই অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়তে চায় না। মানুষের স্বভাব ঠিক এমনই। আর ঠিক এই কারণেই, তোমাদের মধ্যে অনেকেই অবিরাম স্বর্গস্থ ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভের জন্য তাঁর মনোরঞ্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছো, তবুও আসলে, ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের আনুগত্য এবং অকপটতা নিজেদের প্রতি তোমাদের আনুগত্য এবং অমায়িকতার তুলনায় নগণ্য। আমি কেন এই কথা বলছি? কারণ ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের আনুগত্যকে আমি একেবারেই স্বীকার করি না, তদুপরি, আমি তোমাদের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত ঈশ্বরের অস্তিত্বকেও স্বীকার করি না। যার মর্মার্থ হল, তোমরা যে ঈশ্বরের উপাসনা কর, যে অনিশ্চিত ঈশ্বরের তোমরা গুণমুগ্ধ, আসলে তার কোনো অস্তিত্বই নেই। আমি সুনির্দিষ্টভাবে এটি বলতে পারি কারণ, সত্য ঈশ্বরের থেকে তোমরা শতহস্ত দূরে রয়েছ। তোমাদের আনুগত্যের কারণ তোমাদের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত প্রতিমা; ইতিমধ্যে, আমার ব্যাপারে, যে ঈশ্বরকে তোমরা বিশাল বা ক্ষুদ্র কোনোটাই মনে করো না, তাকে তোমরা শুধু মৌখিকভাবেই স্বীকৃতি দাও। যখন আমি তোমাদের বলি তোমরা ঈশ্বরের থেকে দূরে রয়েছ, তখন আমি বোঝাতে চাই তোমরা সত্য ঈশ্বরের থেকে অনেক দূরবর্তী, যেখানে অনিশ্চিত ঈশ্বরকে হাতের নাগালেই মনে হয়। আমি যখন বলি, “মহৎ নয়”, তার প্রাসঙ্গিকতা হল, তোমরা বর্তমানে যে ঈশ্বরে বিশ্বাসী তিনি নন কোনো মহান ক্ষমতাসম্পন্ন, অত্যুচ্চ মানুষ, বরং একজন নিতান্ত সাধারণ ব্যক্তি। আবার যখন আমি বলি “ক্ষুদ্র নয়”, তার অর্থ হল যদিও এই ব্যক্তি বাতাসকে নিয়ন্ত্রিত করতে এবং বৃষ্টিকে আদেশ দিতে পারেন না, তা সত্ত্বেও তিনি আকাশ ও পৃথিবীকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো কাজ করার জন্য ঈশ্বরের আত্মাকে আহ্বান করতে সক্ষম হন যা মানুষকে সম্পূর্ণরূপে বিমূঢ় করে রাখে। বাহ্যিকভাবে, তোমাদের সকলকে পৃথিবীতে খ্রীষ্টের প্রতি চরম অনুগত বলে মনে হলেও, আসলে তাঁর প্রতি তোমাদের বিশ্বাস বা ভালবাসা কোনোটাই নেই। এর অর্থ হল, তোমরা যাকে প্রকৃতই বিশ্বাস কর সে আসলে তোমাদের নিজস্ব অনুভূতির সেই অনিশ্চিত ঈশ্বর, এবং তোমরা যাকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসো সে সেই ঈশ্বর যার আকাঙ্ক্ষায় তোমরা দিবারাত্রি মগ্ন, অথচ যাকে সামনে থেকে কখনো দেখ নি। এই খ্রীষ্টের প্রতি তোমাদের আস্থা আংশিক এবং ভালোবাসা তো নেই-ই। আস্থার অর্থ হল বিশ্বাস এবং ভরসা; ভালোবাসার অর্থ হল অন্তর থেকে বিচ্ছেদহীনভাবে বন্দনা ও শ্রদ্ধা করা। তথাপি বর্তমানে খ্রীষ্টের প্রতি তোমাদের ভালোবাসা এবং বিশ্বাস এর ধারে-পাশে আসে না। যখন আস্থার প্রসঙ্গ আসে, তোমরা কেমন করে তাঁকে বিশ্বাস কর? আবার যখন ভালোবাসার প্রসঙ্গ আসে তোমরা তাঁকে কীভাবে ভালবাসো? তোমাদের তাঁর স্বভাব সম্পর্কে বিন্দুমাত্র উপলব্ধি নেই, তাঁর সারসত্য তো আরোই কম জানো, তাহলে কীভাবে তাঁর প্রতি তোমাদের আস্থা থাকবে? তাঁর প্রতি তোমাদের আস্থার বাস্তবিকতা কোথায়? কীভাবে তোমরা তাঁকে ভালোবাসো? তাঁর প্রতি তোমাদের ভালোবাসার বাস্তবিকতা কোথায়?

আজ পর্যন্ত অনেকেই আমাকে বিনা দ্বিধায় অনুসরণ করেছে। সুতরাং তোমরাও বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অনেক ক্লান্তি সহ্য করেছ। তোমাদের প্রত্যেকের সহজাত প্রকৃতি এবং অভ্যাস সম্পর্কে আমার স্ফটিকের ন্যায় স্বচ্ছ উপলব্ধি রয়েছে; তোমাদের প্রত্যেকের সাথে যোগাযোগ করা ভীষণ শ্রমসাধ্য ছিল। দুঃখের বিষয় এই যে, আমি তোমাদের সম্পর্কে অনেক উপলব্ধি রাখলেও, তোমরা আমায় একটুও বোঝো না। এতে আশ্চর্যের কিছুই নেই যে লোকেরা বলে, বিভ্রান্তির মুহূর্তে তোমরা কারোর প্রতারণার শিকার হয়েছিলে। সত্যিই, তোমরা আমার স্বভাব সম্পর্কে কিছুই বোঝো না, আর আমার মনের তল পাওয়া তো তোমাদের পক্ষে আরোই কঠিন। আজ, আমার সম্পর্কে তোমাদের ভুল বোঝাবুঝিগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আমার প্রতি তোমাদের বিশ্বাস একটি বিভ্রান্তিকর বিশ্বাস রূপেই রয়ে গেছে। আমার প্রতি তোমাদের বিশ্বাস আছে, এটা বলার চেয়ে এমনটা বলা আরও বেশি সুপ্রযুক্ত হবে যে তোমরা সকলেই আমার থেকে অনুগ্রহ লাভের জন্য আমায় খুশী করতে চাইছ এবং আমার চাটুকারিতা করে চলেছো। তোমাদের উদ্দেশ্য খুবই সরল: যিনি আমাকে পুরস্কৃত করতে পারবেন আমি তাঁকেই অনুসরণ করব, এবং যিনি আমাকে চরম বিপর্যয় এড়িয়ে যেতে সাহায্য করবেন আমি তাঁকেই বিশ্বাস করব, সে তিনি ঈশ্বর অথবা কোনো নির্দিষ্ট ঈশ্বর হন না কেন। এর কোনোটাই আমাকে উদ্বিগ্ন করে না। তোমাদের মধ্যে এরকম অনেক মানুষ আছে, এবং এই অবস্থাটি খুব গুরুতর। যদি একদিন, পরীক্ষা করা হয় যে তোমাদের মধ্যে কতজন খ্রীষ্টের সারসত্যের বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টির কারণে তাঁর প্রতি বিশ্বাসী, তাহলে আমার আশঙ্কা তোমাদের মধ্যে একজনের ফলাফলও আমার কাছে সন্তোষজনক মনে হবে না। তাই, তোমরা প্রত্যেকে যদি এই প্রশ্নটি একবার বিবেচনা করো, কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না: যে ঈশ্বরকে তোমরা বিশ্বাস কর তা সম্পূর্ণরূপে আমার থেকে ভিন্ন, এবং যদি তাই হয়, তাহলে তোমাদের ঈশ্বর-বিশ্বাসের সারসত্য কী? তোমরা যত বেশী তোমাদের তথাকথিত ঈশ্বরে বিশ্বাস করবে ততই তোমরা আমার কাছ থেকে বিপথগামী হবে। তাহলে এই সমস্যার সারসত্য কী? এটা নিশ্চিত যে তোমাদের মধ্যে কেউই এই ধরণের প্রশ্ন বিবেচনা কর নি, কিন্তু এর গুরুত্ব কি কখনও তোমাদের মনে এসেছে? তোমাদের এইভাবে বিশ্বাস চালিয়ে যাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে, তা সম্পর্কে তোমরা কি কখনও চিন্তা করেছো?

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পৃথিবীতে ঈশ্বরকে কীভাবে জানা যাবে

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 321

তোমরা কামনা কর ঈশ্বর তোমাদের নিয়ে পুলকিত হবেন, তথাপি তোমরা ঈশ্বর থেকে অনেক দূরে রয়েছো। এখানে বিষয়টা কী? তোমরা শুধু তাঁর বাক্যকেই গ্রহণ...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 218

আমি হাজার হাজার বছর ধরে যে কাজ পরিচালনা করে আসছি তা এই অন্তিম সময়েই সম্পূর্ণভাবে মানুষের সামনে প্রকাশিত হয়েছে। শুধুমাত্র এখনই আমি আমার...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 25

মানুষ যদি অনুগ্রহের যুগে আটকে থাকে, তবে তারা কখনই তাদের ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্তি পাবে না, ঈশ্বরের অন্তর্নিহিত স্বভাবকে জানা তো দূরের কথা।...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 360

যেকোনো মানুষ নিজের কথা ও কাজ দিয়ে তার স্বরূপ প্রকাশ করতে পারে। এই প্রকৃত স্বরূপই হল তাদের প্রকৃতি। তুমি যদি জটিল ভাবে কথা বলো তবে তোমার...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন