ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 555

ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হওয়া শুধু ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করায় সীমিত থাকতে পারে না। তাহলে সেই অভিজ্ঞতা হবে খুবই একপাক্ষিক, তাতে খুব সামান্যই অন্তর্ভুক্ত থাকবে, এবং তা মানুষকে খুব স্বল্প পরিসরে আবদ্ধ করে রাখবে। এই রকম হলে মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম আধ্যাত্মিক পুষ্টি লাভ করবে। তোমরা যদি ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে চাও, তাহলে তোমাদের অবশ্যই শিখতে হবে যে কী ভাবে সমস্ত বিষয়ের অভিজ্ঞতা লাভ করতে হয়, এবং তোমাদের সঙ্গে ঘটা সমস্ত কিছু থেকে আলোকপ্রাপ্ত হতে হয়। সেটা ভাল হোক বা খারাপ, তা যেন তোমার উপকারে আসে, তা যেন তোমার মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব না আনে। সেই সব যা-ই হোক না-কেন, ঈশ্বরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার সময় সেগুলোকে বিচার-বিবেচনা করার ক্ষমতা যেন তোমার থাকে, সেগুলোকে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিশ্লেষণ বা বিচার কোরো না (তা তোমাকে অভিজ্ঞতার পথ থেকে বিচ্যুত করবে)। তোমার এই সব অভিজ্ঞতা হলে তোমার অন্তর তোমার সেই জীবনের ভারে পূর্ণ হবে, তুমি অনবরত ঈশ্বরের অবয়বের আলোতে বেঁচে থাকবে, সহজে নিজের অনুশীলন থেকে বিচ্যুত হবে না। এরকম মানুষদের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হয়ে ওঠার নানা সুযোগ আছে। এটা নির্ভর করছে এর উপর যে, তোমরা সত্যিই ঈশ্বরকে ভালবাসো কি না; ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হওয়ার, ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হওয়ার, এবং তাঁর আশীর্বাদ ও উত্তরাধিকার পাওয়ার সংকল্প তোমাদের মধ্যে আছে কি না। শুধুমাত্র সংকল্প থাকলেই হবে না; তোমাদের অবশ্যই অনেকখানি জ্ঞানও থাকতে হবে, তা নাহলে তোমরা সর্বদা নিজের অনুশীলন থেকে বিচ্যুত হবে। ঈশ্বর তোমাদের প্রত্যেককে নিখুঁত করে তুলতে চান। এখন দাঁড়াচ্ছে এই যে, যদিও বেশিরভাগ মানুষ দীর্ঘ দিন ধরেই ঈশ্বরের কাজকে ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছে, তারা শুধু ঈশ্বরের অনুগ্রহকে উপভোগ করার মধ্যেই নিজেদের আবদ্ধ করে ফেলেছে, এখন তারা শুধু এটাই চায় যে ঈশ্বর তাদের রক্ত-মাংসের জীবনে অল্প স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিন। কিন্তু তারা আরও বেশি, এবং উচ্চতর প্রকাশ প্রাপ্ত করতে চায় না। এর থেকে বোঝা যায়, মানুষের অন্তর এখনও সর্বদা বহির্মুখী। যদিও মানুষের কাজে, তার সেবায়, এবং ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসায় তার অন্তরে অশুদ্ধতা খুব কমই; কিন্তু তার অন্তঃস্থ উপাদান এবং তার পশ্চাদগামী চিন্তার প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে, মানুষ এখনও অনবরত দৈহিক শান্তি ও আনন্দ পেতে চায়, এবং মানুষকে নিখুঁত করে তোলার জন্য ঈশ্বরের শর্ত এবং উদ্দেশ্য কী হতে পারে, তা নিয়ে সে বিন্দুমাত্র চিন্তা করে না। সেই জন্যই বেশির ভাগ মানুষের জীবন এখনও কুরুচিপূর্ণ ও অধঃপতিত হয়ে আছে। তাদের জীবনে সামান্য পরিবর্তনও আসেনি; তারা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসকে মোটেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না, যেন অন্য কারও কারও স্বার্থে তাদের এই বিশ্বাস, তারা স্রোতে ভেসে, অবহেলায় জীবন কাটিয়ে উদ্দেশ্যহীন এক অস্তিত্বে প্রবাহিত হয়। খুব কম লোকেরই সমস্ত বিষয়ে ঈশ্বরের বাক্যে প্রবেশ করতে চাওয়ার, অনেক বেশি ও সমৃদ্ধ বস্তু অর্জন করার, ঈশ্বরের ঘরে মহত্তর সম্পদের অধিকারী হওয়ার, এবং আরও বেশি করে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করার মতো সামর্থ্য আছে। যদি তুমি সমস্ত কিছুতে ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে চাও, এবং এই পৃথিবীতে ঈশ্বর যা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পাওয়ার সামর্থ্য যদি তোমার থাকে, তুমি যদি সমস্ত কিছুতে ঈশ্বরের দ্বারা আলোকপ্রাপ্ত হতে চাও, এবং বছরের পর বছর অলস ভাবে কাটাতে না চাও, তাহলে সক্রিয় ভাবে প্রবেশ করার এটাই হল আদর্শ পথ। একমাত্র এই ভাবেই তুমি ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হওয়ার জন্য যোগ্য ও উপযুক্ত হয়ে উঠবে। তুমি কি সত্যিই সেই ব্যক্তি, যে ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে চাও? তুমি কি সত্যিই সে, যে সমস্ত কিছুতে আন্তরিক? ঈশ্বরের প্রতি তোমারও কি পিতরের মতো প্রগাঢ় ভালবাসা আছে? তুমিও কি ঈশ্বরকে যীশুর মতোই ভালবাসতে চাও? বহু বছর ধরেই যীশুর প্রতি তোমার আস্থা রয়েছে। তুমি কি দেখেছ, যীশু কী ভাবে ঈশ্বরকে ভালবাসতেন? তুমি যাকে বিশ্বাস কর, সে কি সত্যিই যীশু? তুমি আজকের বাস্তববাদী ঈশ্বরকে বিশ্বাস করো; এই দেহরূপী বাস্তববাদী ঈশ্বর স্বর্গের ঈশ্বরকে কী ভাবে ভালবাসেন তা কি তুমি দেখেছ? প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর তোমার বিশ্বাস আছে; কারণ মানবজাতির মুক্তির স্বার্থে যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া এবং তাঁর দ্বারা সম্পাদিত অলৌকিক কর্মকাণ্ডগুলি সাধারণ ভাবে স্বীকৃত সত্য। অথচ যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধে জ্ঞান এবং সত্য উপলব্ধি থেকে মানুষের বিশ্বাস আসে না। তুমি শুধু যীশুর নামকে বিশ্বাস করো, কিন্তু তাঁর আত্মায় বিশ্বাস করো না; কারণ যীশু কী ভাবে ঈশ্বরকে ভালবেসেছিলেন সে বিষয়ে তুমি মনোযোগ দাও না। ঈশ্বরের প্রতি তোমার ভালবাসা একেবারে শিশুসুলভ। বহু বছর ধরে যীশুকে বিশ্বাস করা সত্ত্বেও তুমি জানো না ঈশ্বরকে কীভাবে ভালবাসতে হয়। এতে কি তুমি বিশ্বের সবথেকে বড় মূর্খ প্রতিপন্ন হলে না? এটাই প্রমাণ যে, এত বছর ধরে বৃথাই তুমি প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আহার ভোজন করে গেলে। এই ধরনের মানুষদের শুধু যে আমিই অপছন্দ করি তা নয়; আমার বিশ্বাস, তোমরা যার উপাসনা করো, সেই প্রভু যীশু খ্রীষ্টও তাদের অপছন্দ করতেন। এই ধরনের লোকেরা কীভাবে নিখুঁত হয়ে উঠতে পারে? লজ্জায় তোমার মুখ কি লাল হয়ে যাচ্ছে না? তোমার কি লজ্জা করছে না? তোমার প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সাহস কি এখনও আছে? আমি যা বললাম তার মানে তোমরা বুঝতে পারলে কি?

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যাদের নিখুঁত করে তোলা হয়েছে তাদের জন্য প্রতিশ্রুতি

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 25

মানুষ যদি অনুগ্রহের যুগে আটকে থাকে, তবে তারা কখনই তাদের ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্তি পাবে না, ঈশ্বরের অন্তর্নিহিত স্বভাবকে জানা তো দূরের কথা।...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 360

যেকোনো মানুষ নিজের কথা ও কাজ দিয়ে তার স্বরূপ প্রকাশ করতে পারে। এই প্রকৃত স্বরূপই হল তাদের প্রকৃতি। তুমি যদি জটিল ভাবে কথা বলো তবে তোমার...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 554

ঈশ্বর কোন পথে মানুষকে নিখুঁত করে তোলেন? এতে কোন দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত? তুমি কি ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হতে চাও? তুমি কি তাঁর বিচার ও শাস্তিকে...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অন্তিম সময়ের বিচার | উদ্ধৃতি 79

বিচারের কাজটি ঈশ্বরের নিজস্ব, তাই স্বাভাবিকভাবেই এটি স্বয়ং ঈশ্বরের দ্বারাই সম্পন্ন হওয়া উচিত; তাঁর পরিবর্তে মানুষ তা করতে পারে না। যেহেতু...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন