ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 117
মানুষ এখন যা অর্জন করেছে—তার বর্তমান অবস্থা, জ্ঞান, প্রেম, বিশ্বস্ততা, আনুগত্য, এবং অন্তর্দৃষ্টি—এগুলি সবই বাক্যের বিচার দ্বারা সাধিত...
ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য যারা আকুলভাবে অপেক্ষা করছেন তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই!
যদি তুমি ঈশ্বরের কাছ থেকে নতুন আলো গ্রহণ করতে না পারো, এবং ঈশ্বর আজ যা যা করছেন তার সব যদি বুঝতে না পারা সত্ত্বেও তার অনুসন্ধান না করো, অথবা সেই বিষয়ে যদি সন্দিহান হয়ে থাকো, নিজের সিদ্ধান্ত জারি করো, অথবা যাচাই এবং বিশ্লেষণ করো, তাহলে তোমার ঈশ্বরকে মান্য করার কোনো মানসিকতা নেই। এখানে, এখন নতুন আলোর এই আবির্ভাবের পরেও, যদি, তুমি পুরনো আলোকেই আঁকড়ে ধরে থাকো, এবং ঈশ্বরের নতুন কাজের বিরোধিতা করো, তাহলে তুমি যুক্তিবোধহীন মানুষ ছাড়া আর কিছুই নও—তুমি তাদের একজন যারা জেনেশুনে ঈশ্বরের বিরোধিতা করে। ঈশ্বরকে মান্য করার মূল চাবিকাঠি হল নতুন আলোর কদর করা, এবং তা গ্রহণ ও অনুশীলন করতে সক্ষম হওয়া। একমাত্র এ-ই হল প্রকৃত আজ্ঞাকারিতা। যাদের মধ্যে ঈশ্বরের জন্য আকুল হওয়ার ইচ্ছার অভাব রয়েছে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর প্রতি নিজেকে সমর্পণ করতে অপারগ, এবং তাদের স্থিতাবস্থার প্রতি সন্তুষ্টির ফলস্বরূপ, তারা শুধুমাত্র ঈশ্বরের বিরোধিতাই করতে পারে। পূর্বে যা এসেছিল তাতে আচ্ছন্ন থাকার কারণে, সেই ব্যক্তি ঈশ্বরকে মান্য করতে পারে না। আগে যা এসেছিল তার ফলে মানুষের মনে ঈশ্বর সম্বন্ধে নানান ধরনের ধারণা ও কল্পনার জন্ম দিয়েছে, এবং সেগুলি তাদের মনে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি হয়ে উঠেছে। সুতরাং, তারা যা বিশ্বাস করে তা তাদের নিজস্ব ধারণা এবং তাদের নিজস্ব কল্পনাসমূহের মাপকাঠি অনুসারে। যে ঈশ্বর আজ তোমাদের জন্য প্রকৃত কাজ করছেন, তার সাথে তোমরা যদি নিজের কল্পনার ঈশ্বরের কাজের তুলনা করে থাকো, তাহলে তোমার সেই বিশ্বাস শয়তানের কাছ থেকে আসছে, এবং সেগুলি তোমার নিজের পছন্দ দ্বারা কলঙ্কিত—ঈশ্বর এই ধরনের বিশ্বাস চান না। তাদের মর্যাদা যতই উচ্চ মানের হোক না কেন, এবং তাদের নিষ্ঠা যেমনই থাক না কেন—এমনকি যদি তারা তাঁর কাজের জন্য সারাজীবনের প্রচেষ্টাও উৎসর্গ করে থাকে, এবং মৃত্যুবরণও করে থাকে—তা সত্ত্বেও ঈশ্বর এই ধরনের বিশ্বাস থাকা কাউকে অনুমোদন করেন না। তিনি তাদের শুধুমাত্র কিছু অনুগ্রহ করেন এবং কিছু দিনের জন্য তা উপভোগ করতে দেন। এই ধরনের মানুষেরা সত্যের পালন করতে পারে না। পবিত্র আত্মা তাদের মধ্যে কাজ করে না, এবং ঈশ্বর তাদের প্রত্যেককে একে একে পরিহার করবেন। তরুণ হোক বা বৃদ্ধ, যারা তাদের বিশ্বাসে ঈশ্বরকে মান্য করে না এবং যাদের অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে, তাদের কাজ হল বিরোধিতা করা আর বাধা দেওয়া, এবং এই ধরনের মানুষকে ঈশ্বর নিঃসন্দেহে পরিহার করবেন। যাদের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি সামান্যতম আজ্ঞাকারিতাও নেই, যারা নিছকই তাঁর নাম স্বীকার করে, এবং ঈশ্বরের দয়া ও মাধুর্যের সম্পর্কে কিছুটা অনুভূতি রাখে, কিন্তু তবুও পবিত্র আত্মার পদক্ষেপের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না, এবং তাঁর বর্তমান কাজ ও বাক্য মেনে চলে না—এই ধরনের লোকেরা ঈশ্বরের অনুগ্রহের মধ্যে বাস করলেও তারা কখনওই তাঁর দ্বারা অর্জিত হবে না, বা তাদেরকে তিনি নিখুঁত করে তুলবেন না। ঈশ্বর মানুষকে তাঁর প্রতি আজ্ঞাকারিতা, ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান, উপভোগ এবং তাদের জীবনের কষ্ট স্বীকার ও পরিমার্জনের মাধ্যমে তাদের নিখুঁত করে গড়ে তোলেন। শুধুমাত্র ঈশ্বরের প্রতি এই ধরনের বিশ্বাসের মাধ্যমেই মানুষের স্বভাব পরিবর্তন হতে পারে, এবং তবেই তারা প্রকৃত ঈশ্বরজ্ঞানের অধিকারী হতে পারে। কেবল ঈশ্বরের অনুগ্রহের মধ্যে বাস করে, সক্রিয়ভাবে ব্যাকুল হয়ে, এবং সত্যের সন্ধান করে, এবং ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হওয়ার অন্বেষণে রত হয়েই সন্তুষ্ট না থাকা—এরই অর্থ হল সচেতনভাবে ঈশ্বরকে মান্য করা আর ঠিক এই ধরনের ঈশ্বর বিশ্বাসই তিনি চান। যারা শুধুমাত্র ঈশ্বরের অনুগ্রহ উপভোগ করা ছাড়া আর কিছুই করে না, তাদের নিখুঁত বা পরিবর্তন করা যাবে না; এবং তাদের আজ্ঞাকারিতা, ধর্মভীরুতা, ভালোবাসা এবং ধৈর্য সবই ঠুনকো। যারা শুধু ঈশ্বরের অনুগ্রহ উপভোগ করে, তারা আসলে ঈশ্বরকে জানতে পারে না, এমনকি যখন তারা ঈশ্বরকে জানে, তখনও তাদের জ্ঞান অগভীর হয়, এবং তারা, “ঈশ্বর মানুষকে ভালোবাসেন” বা “ঈশ্বর মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল”, এই ধরনের কথা বলে। এমনটি মানুষের প্রকৃত জীবনের প্রতিনিধিত্ব করে না, এবং, এমনটি বোঝায় না, যে, মানুষ ঈশ্বরকে যথার্থই জানে। যদি, ঈশ্বরের বাক্য তাদেরকে পরিমার্জিত করে, অথবা যখন তিনি মানুষের পরীক্ষা নেন, তখন মানুষ ঈশ্বরকে মান্য করতে পারে না—যদি তার বদলে তারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে ওঠে এবং অধঃপতিত হয়—তখন তারা ঈশ্বরের প্রতি বিন্দুমাত্র আজ্ঞাকারী থাকে না। তাদের মধ্যে, ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস সম্পর্কে অনেক নিয়ম এবং বিধিনিষেধ রয়েছে, সেগুলি হল পুরনো অভিজ্ঞতা যা অনেক বছরের বিশ্বাসের ফল, অথবা সেগুলি বাইবেল ভিত্তিক বিভিন্ন নিয়ম। এই ধরনের লোকেরা কি ঈশ্বরকে মান্য করতে পারে? এই সব মানুষ মনুষ্যসুলভ বিষয়ে আচ্ছন্ন—তারা কীভাবে ঈশ্বরকে মান্য করতে পারবে? তাদের “আজ্ঞাকারিতা” ব্যক্তিগত পছন্দের অনুসারী—ঈশ্বর কি এরকম আজ্ঞাকারিতা চাইবেন? এমনটি ঈশ্বরের প্রতি আজ্ঞাকারিতা নয়, বরং তা নিয়মাবলীর প্রতি আনুগত্য; এ হল তাদের নিজেদের প্রতি সন্তুষ্টিদান তথা আত্ম-নিবৃত্তি। যদি তুমি বলো যে, এ হল ঈশ্বরের প্রতি আজ্ঞাকারিতা, তবে কি তুমি তাঁর বিরুদ্ধে নিন্দা করছ না? তুমি একজন মিশরের ফারাও। তুমি অশুভ কাজ করো এবং প্রকাশ্যভাবে ঈশ্বরবিরোধিতার কাজে লিপ্ত হও—ঈশ্বর কি চান যে তুমি এইভাবেই তাঁর সেবা করো? নিজের কাজের জন্য যত শীঘ্র সম্ভব অনুতপ্ত হও এবং কিছু আত্মসচেতনতা অর্জনের চেষ্টা করো। এমনটি করতে ব্যর্থ হলে, তোমার কিছুই না করাও ভালো; তোমার জাহির করা ঈশ্বরের সেবার চেয়ে কিছু না করাই তোমার পক্ষে বেশি মঙ্গলের। তুমি বাধা দেবে না এবং বিরক্ত করবে না; তুমি তোমার অবস্থান জানবে, এবং ভালো ভাবে বাঁচবে—সেটাই কি বেশি ভালো নয়? আর ঈশ্বরের বিরোধিতা করার জন্য তোমায় শাস্তি দেওয়াও হবে না!
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বর বিশ্বাসে, তোমার ঈশ্বরকে মান্য করা উচিত
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
মানুষ এখন যা অর্জন করেছে—তার বর্তমান অবস্থা, জ্ঞান, প্রেম, বিশ্বস্ততা, আনুগত্য, এবং অন্তর্দৃষ্টি—এগুলি সবই বাক্যের বিচার দ্বারা সাধিত...
বহু সহস্রাব্দ ধরে মানুষ পরিত্রাতার আগমন প্রত্যক্ষ করার জন্য অপেক্ষা করেছে। যারা হাজার হাজার বছর ধরে পরিত্রাতা যীশুর আগমনের জন্য আকুল হয়ে...
Job Defeats Satan and Becomes a True Man in the Eyes of God When Job first underwent his trials, he was stripped of all his property and...
সকল মানুষের মাঝে বিদ্যমান সাধারণ সমস্যা হলো যে তারা সত্য উপলব্ধি করতে পারে কিন্তু তা পালনে ব্যর্থ হয়। এর কারণ হল, একদিকে তারা মূল্য দিতে...