ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 455
সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে তাঁর কাজ শুরু করার সময় থেকে, ঈশ্বর বহু মানুষকে তাঁর সেবা করার জন্যে পূর্বনির্দিষ্ট করেছেন। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষই রয়েছে এর মধ্যে। তাঁর উদ্দেশ্য হল, তাঁর ইচ্ছাপূরণ করা এবং পৃথিবীতে তাঁর কাজকে সুচারুরূপে সম্পন্ন করা; মানুষকে নির্বাচন করার এটাই হল ঈশ্বরের উদ্দেশ্য যাতে তারা তাঁর সেবা করতে পারে। ঈশ্বরের সেবায় নিবেদিত প্রতিটি ব্যক্তির অবশ্যই তাঁর ইচ্ছার মর্ম বোঝা প্রয়োজন। ঈশ্বরের এই ধরনের কাজে তাঁর প্রজ্ঞা, তাঁর সর্বশক্তিমত্তা এবং এই জগতে তাঁর কাজের নীতিগুলি মানুষের কাছে আরও স্পষ্ট করে তোলে। প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বর এই জগতে এসেছেন তাঁর কাজ করতে, মানুষের সঙ্গে যুক্ত হতে, যাতে তারা সুস্পষ্টভাবে তাঁর কাজ সম্বন্ধে অবহিত হতে পারে। আজকের দিনে তোমরা, এই দলভুক্ত ব্যক্তিরা, বাস্তববাদী ঈশ্বরের সেবা করতে পেরে ভাগ্যবান হয়েছো। যথার্থই এটা তোমাদের জন্য অপরিমেয় আশীর্বাদস্বরূপ—যে তোমরা ঈশ্বরের দ্বারা উন্নীত। কোনও ব্যক্তিকে তাঁর কাজের জন্য নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ঈশ্বর সর্বদাই তাঁর নিজস্ব নীতি প্রয়োগ করেন। মানুষ সাধারণত মনে করে যে, ঈশ্বরের সেবা করা কেবলই একটি উদ্যমের বিষয়, কিন্তু আদপেই তা নয়। আজকের দিনে তোমরা দেখবে যে যারা ঈশ্বরের সেবা করে তাদের তা করার কারণ, তাদের রয়েছে ঈশ্বরের পথনির্দেশ এবং পবিত্র আত্মার কাজ, এবং কারণ তারা সত্যকে অনুসরণ করে। ঈশ্বরের সেবার জন্য সবার এগুলিই ন্যূনতম শর্ত।
ঈশ্বরের সেবা করা কোনও সহজ কাজ নয়। যাদের ভ্রষ্ট স্বভাব অপরিবর্তিত থেকে যায় তারা কখনোই ঈশ্বরের সেবা করতে পারে না। যদি ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা তোমার স্বভাবকে বিচার এবং শাস্তি না দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে তোমার স্বভাব এখনও শয়তানের প্রতিনিধিত্ব করে, যা প্রমাণ করে যে তুমি নিজের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যেই ঈশ্বরের সেবা করছো, আর তোমার সেবা শয়তানোচিত প্রকৃতির উপর ভিত্তি করেই। সহজাতভাবে এবং ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী তুমি ঈশ্বরের সেবা করো। এছাড়াও তুমি সর্বদা মনে করো, যে কাজগুলি তুমি করতে ইচ্ছুক, তা-ই ঈশ্বরের কাছে আনন্দদায়ক, এবং তুমি যেগুলি করতে চাও না তা ঈশ্বরের কাছে ঘৃণ্য; সম্পূর্ণভাবে নিজের পছন্দ অনুযায়ী তুমি কাজ করো। একে কি ঈশ্বরের সেবা বলা চলে? শেষ পর্যন্ত, তোমার স্বভাবে সারা জীবনেও সামান্যতম পরিবর্তন হবে না; বরং তোমার সেবা তোমাকে আরও অনমনীয় করে তুলবে, আর এইভাবে তোমার স্বভাবে ভ্রষ্টাচার আরও দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হবে। যেমন, ঈশ্বরের সেবার ব্যাপারে তুমি নিজেই তৈরি করবে এমন সব নিয়ম-বিধি, যা মূলত: তোমার নিজের চরিত্র এবং নিজের স্বভাবসিদ্ধ সেবার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী। এগুলিই মানুষের অভিজ্ঞতা আর শিক্ষার পরিচয়, পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার দর্শন। এই ধরনের লোকেদের ফরিশী এবং ধর্মীয় কর্মকর্তা হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। যদি তারা কখনো সচেতন ও অনুতপ্ত না হয় তাহলে তারা নিশ্চিতভাবেই ভণ্ড খ্রীষ্ট ও খ্রীষ্টবিরোধীতে পরিণত হবে, যারা অন্তিম সময়ে মানুষদের প্রতারিত করবে। বলা হয়েছিল, এইসব ভণ্ড খ্রীষ্ট আর খ্রীষ্টবিরোধীরা এই ধরনের ব্যক্তিদের মধ্যে থেকেই উঠে আসবে। যারা ঈশ্বরের সেবা করে তারা যদি নিজেদের চরিত্র অনুযায়ী চলে আর নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে, তাহলে তারা যেকোনো সময়েই পরিত্যক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। যারা শুধুমাত্র অন্যদের মুগ্ধ করার জন্য, বাণী শুনিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং নিজেদের উচ্চাসন বজায় রাখার জন্য নিজেদের ঈশ্বর-সেবার বহু বছরের অর্জিত অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে, এবং কোনদিনই অনুতপ্ত হয়না, নিজেদের পাপ স্বীকার করে না এবং নিজেদের অবস্থানগত সুযোগ-সুবিধাগুলি কখনোই ত্যাগ করে না—সেইসব ব্যক্তি ঈশ্বরের সামনে পতিত হবে। তারা পৌলের মত একই ধরনের মানুষ, নিজেদের প্রবীণত্ব ও গুণাবলী দম্ভ সহকারে শুধুই প্রদর্শন করতে চায়। এই ধরনের মানুষদের ঈশ্বর কখনও নিখুঁত করবেন না। এদের সেবা ঈশ্বরের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। মানুষ স্বভাবতই পুরাতন বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে থাকে। বিগত দিনের সবকিছু এবং প্রাচীন ধ্যান-ধারণাই তাদের একমাত্র অবলম্বন। এই মানসিকতাই ঈশ্বর-সেবার পথে একটি বড় বাধা। তুমি যদি এগুলি পরিত্যাগ করতে না পারো, তাহলে তোমার সমস্ত জীবনের সব পথ অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। ঈশ্বরের সামান্যতম প্রশংসাও তোমার উপর বর্ষিত হবে না। জীবনের পথে চলতে গিয়ে তোমার পা যদি ভেঙ্গে পড়ে অথবা পরিশ্রমে তোমার পিঠ ভেঙ্গে যায়, এমনকি ঈশ্বরের সেবা করতে গিয়ে তুমি যদি শহীদও হও, তবুও নয়। বরং পরিবর্তে, তিনি বলবেন যে তুমি একজন অন্যায়কারী।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ধর্মীয় সেবার বিশুদ্ধিকরণ আবশ্যক
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।