ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 320
যারা অন্যদের প্রতি সন্দেহপ্রবণ নয় আমি তাদের নিয়ে তৃপ্ত হই, এবং যারা সহজে সত্যকে গ্রহণ করতে পারে আমি তাদের পছন্দ করি; এই দুই ধরণের মানুষের...
ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য যারা আকুলভাবে অপেক্ষা করছেন তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই!
ঈশ্বর এই জগত সৃষ্টি করেছেন, সেখানে এনেছেন মানুষ নামক এক জীব, যাদের মধ্যে তিনি প্রাণ সঞ্চার করেছেন। তারপর, মানুষ পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজন লাভ করল, যার ফলে সে আর একা রইল না। যখন থেকে মানুষ এই বস্তুজগতের দিকে চোখ মেলেছে, তার নিয়তি ছিল ঈশ্বরের আদেশের অধীনে অস্তিত্ব বজায় রাখা। ঈশ্বর প্রত্যেক জীবিত সত্তার মধ্যে যে প্রাণ সঞ্চার করেন সেটা তাদের ছোট থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত সহযোগিতা করে। এই প্রক্রিয়ায়, কেউ বুঝতে পারেনা যে মানুষ ঈশ্বরের পরিচর্যায় বেড়ে উঠছে; বরং তারা বিশ্বাস করে যে তারা পিতামাতার পরিচর্যাতেই বড় হচ্ছে, আর তাদের বড় হওয়াটা তাদের বেঁচে থাকার সহজাত প্রবৃত্তির কারণে সম্ভব হচ্ছে। এর কারণ হল, মানুষ জানে না যে কার আশীর্বাদে সে জীবন পেয়েছে, তার প্রাণ কোথা থেকে এসেছে, আর এটাতো সে আরোই কম বোঝে যে কীভাবে জীবনের প্রবৃত্তি বিভিন্ন অলৌকিক সৃজন ঘটাতে পারে। সে কেবল এটুকুই জানে যে খাদ্যই তার জীবনধারণের ভিত্তি, তার অস্তিত্বের উৎস তার অধ্যবসায়, আর তার মনে যে সমস্ত বিশ্বাস সঞ্চিত আছে সেই পুঁজির উপরেই তার বেঁচে থাকা নির্ভরশীল। ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও সংস্থানের বিষয়ে মানুষ চূড়ান্তভাবে অচেতন, এবং এভাবেই ঈশ্বর আশীর্বাদস্বরূপ তাকে যে জীবন দিয়েছেন, সেটাকে সে নষ্ট করে ফেলছে…। এই যে মানবজাতিকে ঈশ্বর দিবারাত্র পরিচর্যা করে চলেছেন তার একজন সদস্যও নিজের অন্তর থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা করে না। ঈশ্বর নিজের পরিকল্পনা অনুসারে কেবল মানুষের জন্য কাজই করে চলেন; তাদের থেকে তাঁর কোনো রকমের প্রত্যাশা নেই। তিনি এটা এই আশায় করেন যে, একদিন মানুষ নিজের ঘুমের ঘোর থেকে জেগে উঠবে আর হঠাৎই অনুভব করবে জীবনের মূল্য ও তার অর্থ, ঈশ্বর তাকে যা কিছু দিয়েছেন তার জন্য তাঁকে কী মূল্য দিতে হয়েছে, আর এটাও বুঝতে পারবে যে ঈশ্বর কী ব্যাকুল আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কখন মানুষ তাঁর দিকে মনোযোগ দেওয়া শুরু করবে। মানুষের জীবনের উৎস ও তার বেঁচে থাকার নিয়মের গোপন রহস্য কেউ কখনো বুঝতে চায়নি। কেবলমাত্র ঈশ্বর, যিনি এই সব রহস্য জানেন, সেই ঈশ্বরের কাছ থেকে সমস্তকিছু পাওয়ার পরেও যে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সেই মানুষের দেওয়া চোট ও আঘাত তিনি নীরবে সহ্য করে চলেছেন। জীবনচক্রের অংশ হিসাবে অনিবার্যভাবে যা কিছু মানুষের সামনে এসে উপস্থিত হয়, সেগুলি তারা উপভোগ করে, আর ঠিক একইভাবে, “অনিবার্যভাবে” মানুষ ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাঁকে ভুলে যায়, আর নিজের অন্যায্য দাবি আদায় করে চলে। এমন কি হতে পারে যে ঈশ্বরের পরিকল্পনা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ? এমন কি হতে পারে যে, মানুষ নামক ঈশ্বরের নিজের হাতে সৃষ্ট প্রাণীটি সত্যিই এতটা গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য? ঈশ্বরের পরিকল্পনা নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ; তথাপি ঈশ্বরের সৃষ্ট এই প্রাণীর অস্তিত্বই তাঁর পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে। তাই, ঈশ্বর এই মানবজাতির প্রতি ঘৃণাবশত তাঁর পরিকল্পনা নষ্ট হতে দিতে পারেন না। তাঁর পরিকল্পনা, আর তিনি যে প্রাণবায়ু সঞ্চার করেছিলেন, তার কথা ভেবেই ঈশ্বর সমস্ত রকমের উৎপীড়ন সহ্য করছেন, মানুষের দেহের জন্য নয়—মানুষের জীবনের স্বার্থে। মানুষের শরীরকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং তিনি যে প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন তার জন্যই এটা করেন। এটাই তাঁর পরিকল্পনা।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বর হলেন মানুষের জীবনের উৎস
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।
যারা অন্যদের প্রতি সন্দেহপ্রবণ নয় আমি তাদের নিয়ে তৃপ্ত হই, এবং যারা সহজে সত্যকে গ্রহণ করতে পারে আমি তাদের পছন্দ করি; এই দুই ধরণের মানুষের...
অন্তিম সময়ে, ঈশ্বর তাঁর বাক্য প্রকাশ করতে এসেছেন। তিনি আত্মার দৃষ্টিকোণ থেকে, মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে, এবং তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে কথা...
তোমাদের সমস্ত কিছু আমার কাজে নিবেদন করা উচিত। তোমাদের সেই কাজ করা উচিত যাতে আমার উপকার হয়। তোমরা যা কিছু বোঝো না তার সমস্তটাই আমি ব্যাখ্যা...
যদিও অনেক মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, কিন্তু খুব কম মানুষই জানে ঈশ্বরে বিশ্বাসের অর্থ কী এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণের জন্য তাদের কোন কাজটি অবশ্যই...