ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের স্বভাব এবং তিনি কে ও তাঁর কী আছে | উদ্ধৃতি 244

আমি চাই তোমরা অনেক কিছুই অর্জন করো, কিন্তু তোমাদের সমস্ত কর্ম, তোমাদের জীবনের সবকিছু মিলেও আমার সে আশা পূর্ণ করতে অক্ষম। তাই আমার ইচ্ছের কথা তোমাদের সরাসরি বুঝিয়ে বলা ছাড়া আমার আর কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু তোমাদের বিচক্ষণতা, তোমাদের বোধশক্তি একইরকম দুর্বল, তাই আমার স্বভাব, আমার সারসত্য সম্পর্কে তোমরা প্রায় পুরোপুরি অজ্ঞ। তাই এই বিষয়ে তোমাদের জানানো অত্যন্ত জরুরি। আগে তোমরা যতটুকুই বুঝে থাকো, এসব সমস্যা তোমরা বুঝতে চাও বা না চাও, আমাকে বিষয়গুলো বিশদভাবে তোমাদের কাছে ব্যাখ্যা করতেই হবে। বিষয়গুলো তোমাদের কাছে একেবারে নতুন নয়, কিন্তু এসবের অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝার ক্ষমতা, বা এসবের সঙ্গে তোমাদের পরিচয়, বেশি নেই। তোমাদের অনেকেরই ধারণা যৎসামান্য, আংশিক, অসম্পূর্ণ। আমার মনে হয় সত্যের অনুশীলন আরও ভালোভাবে করার জন্য, আমার বাক্য আরও ভালো করে অনুশীলন করার জন্য, এই বিষয়গুলোই তোমাদের বুঝতে হবে সবার আগে। তা না হলে তোমাদের বিশ্বাস থেকে যাবে অস্পষ্ট, ভণ্ডামিপূর্ণ, হয়ে যাবে ধর্মের বাইরের আড়ম্বরমাত্র। ঈশ্বরের স্বভাব যদি বুঝতে না পারো, তবে তাঁর জন্য যে কাজ তোমার করা দরকার, তা করা সম্ভব হবে না তোমার পক্ষে। ঈশ্বরের সারসত্যকে না জানলে তাঁর প্রতি তোমার শ্রদ্ধা, ভয় কিছুই থাকা সম্ভব নয়। তার বদলে থাকবে শুধু আন্তরিকতাহীন উদাসীনতা ও অসত্যাচরণ, আর সর্বোপরি, সংশোধনাতীত অধার্মিকতা। যদিও ঈশ্বরের স্বভাব উপলব্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাঁর সারসত্যকে উপলব্ধি করা একেবারেই উপেক্ষণীয় বিষয় নয়, তবুও কেউই আজও বিষয়গুলো ভালো করে বোঝার অথবা তলিয়ে দেখার চেষ্টা করেনি। আমার প্রশাসনিক ফরমান তোমরা সবাই স্পষ্টতই খারিজ করে দিয়েছ। ঈশ্বরের স্বভাব যদি তোমরা না বুঝতে পারো, তবে তোমরা তাঁর স্বভাবকেই ক্ষুব্ধ করবে। তাঁর স্বভাবকে ক্ষুব্ধ করার অর্থ হল তাঁর ক্রোধের উদ্রেক করা। সেক্ষেত্রে তোমাদের কাজের চূড়ান্ত পরিণাম হল তাঁর প্রশাসনিক ফরমান লঙ্ঘন। অতএব তোমাদের বুঝতে হবে যে, ঈশ্বরের সারসত্যকে জানলে তোমরা বুঝবে তাঁর স্বভাবের কথা, আর তাঁর স্বভাবকে বুঝতে পারলে তোমরা বুঝতে পারবে তাঁর প্রশাসনিক ফরমান। বলাই বাহুল্য, তাঁর প্রশাসনিক ফরমানে যা আছে তার অধিকাংশই প্রকাশিত তাঁর স্বভাব। তবে তাঁর সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট প্রশাসনিক ফরমানে ব্যক্ত নয়। তাই ঈশ্বরের স্বভাব আরও ভালো করে উপলব্ধি করার জন্য তোমাদের আরও এক ধাপ এগোতে হবে।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের স্বভাব বোঝা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 323

মানুষ দীর্ঘকাল ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছে, তবুও তাদের বেশীরভাগেরই “ঈশ্বর” শব্দটি কী বোঝায় সে বিষয়ে কোনো উপলব্ধি নেই, তারা শুধুমাত্র বিহ্বলভাবে...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 555

ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হওয়া শুধু ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করায় সীমিত থাকতে পারে না। তাহলে সেই অভিজ্ঞতা হবে খুবই একপাক্ষিক, তাতে খুব সামান্যই...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 218

আমি হাজার হাজার বছর ধরে যে কাজ পরিচালনা করে আসছি তা এই অন্তিম সময়েই সম্পূর্ণভাবে মানুষের সামনে প্রকাশিত হয়েছে। শুধুমাত্র এখনই আমি আমার...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 44

ইস্রায়েলে আমার কার্য নির্বাহ করার সময় আমি “যিহোবা” নাম গ্রহণ করেছিলাম, এবং এই নামের অর্থ ইস্রায়েলীদের ঈশ্বর (ঈশ্বরের নির্বাচিত ব্যক্তিগণ)...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন