ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি135
বর্তমানে, বাস্তববাদী ঈশ্বর সম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান খুবই একপেশে, এবং ঈশ্বরের অবতাররূপ ধারণের তাৎপর্য সম্বন্ধে তাদের উপলব্ধি এখনও অতীব নগণ্য। দেহধারণপূর্বক আবির্ভূত ঈশ্বরের মাধ্যমে মানুষ তাঁর কর্ম ও বাক্য প্রত্যক্ষ করতে পারে এবং দেখতে পায় ঈশ্বরের আত্মা কত প্রভূতভাবে পরিপূর্ণ, তিনি কত সমৃদ্ধ। তবু, যাই হোক না কেন, ঈশ্বরের সাক্ষ্য পরিণামে ঈশ্বরের আত্মার থেকেই আগত হয়: ঈশ্বরের দেহধারণপূর্বক সম্পাদিত কর্ম, তাঁর কর্ম সম্পাদনের নীতিসমূহ, তাঁর মনুষ্যত্বের মধ্যে এবং দেবত্বের মধ্যে সম্পাদিত কর্মসকল—এই সকলকিছু। মানুষকে এই জ্ঞান অর্জন করতেই হবে। বর্তমানে, তুমি এই দেহধারী ঈশ্বরের অর্চনা করতে সক্ষম হয়েছ, যদিও সারসত্য হল যে তুমি আদতে আত্মার উপাসনাই করছ, এবং অবতাররূপী ঈশ্বরের বিষয়ে জ্ঞানার্জনের পথে ন্যূনতম এই বিষয়গুলি মানুষকে অর্জন করতেই হবে: দেহরূপের মাধ্যমে আত্মার সারসত্যকে জানা, দেহরূপে আত্মার ঐশ্বরিক এবং মানবীয় কার্য সম্বন্ধে অবহিত হওয়া, অবতাররূপে আত্মার দ্বারা উচ্চারিত সকল বাক্য এবং কথনকে গ্রহণ করা, এবং কীভাবে ঈশ্বরের আত্মা দেহকে পরিচালিত করেন এবং দেহের মাধ্যমে স্বীয় ক্ষমতা পরিদর্শিত করেন—তা উপলব্ধি করা। অর্থাৎ, প্রকারান্তরে বললে, দেহরূপের মধ্য দিয়ে মানুষ স্বর্গের আত্মার বিষয়ে অবহিত হয়; মানুষের মাঝে স্বয়ং বাস্তববাদী ঈশ্বরের আবির্ভাবের ফলে মানুষের ধারণা থেকে অস্পষ্ট ঈশ্বর অপসারিত হয়েছে। স্বয়ং বাস্তববাদী ঈশ্বরের উপাসনার ফলে তারা ঈশ্বরের প্রতি অধিকতর অনুগত হয়ে ওঠে, এবং, ঈশ্বরের আত্মার দেহধারণপূর্বক সম্পাদিত ঐশ্বরিক কর্ম ও মানবীয় কর্মের মাধ্যমে, মানুষ উদ্ঘাটন লাভ করে এবং পরিচালিত হয়, এবং মানুষের জীবনচরিত্রের পরিবর্তন সাধিত হয়। এই-ই হল আত্মার দেহধারণপূর্বক আবির্ভাবের প্রকৃত অর্থ, যার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল যাতে মানুষ ঈশ্বরের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে, ঈশ্বরের উপর আস্থা রাখতে পারে, এবং ঈশ্বর-বিষয়ক জ্ঞান লাভ করতে পারে।
বাস্তববাদী ঈশ্বরের প্রতি মানুষের, মূলতঃ, কোন ধরনের মানসিকতা পোষণ করা উচিত? ঈশ্বরের অবতাররূপ ধারণের বিষয়ে, বাক্যের দেহে আবির্ভূত হওয়ার বিষয়ে, ঈশ্বরের দেহে আবির্ভূত হওয়ার বিষয়ে, বাস্তববাদী ঈশ্বরের কার্যকলাপের বিষয়ে তুমি কী জানো? আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তুগুলি কী কী? ঈশ্বরের অবতাররূপ ধারণ, বাক্যের দেহে আবির্ভূত হওয়া, এবং ঈশ্বরের দেহীভাবে অবতীর্ণ হওয়ার বিষয়সমূহকে উপলব্ধি করতেই হবে। তোমাদের উচিত ধীরে ধীরে এই বিষয়গুলিকে বুঝে নেওয়া, এবং, তোমাদের আত্মিক উচ্চতা ও কোন যুগে তুমি জীবনধারণ করছ তার উপর ভিত্তি করে তোমাদের জীবন-অভিজ্ঞতায় এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে একটা সুস্পষ্ট জ্ঞানের অধিকারী হওয়া। মানুষ যে পদ্ধতিতে ঈশ্বরের বাক্য উপলব্ধি করে এবং যে উপায় অবলম্বন করে তারা ঈশ্বরের বাক্যের দেহে আবির্ভূত হওয়া সম্বন্ধে অবহিত হয় তা এক ও অভিন্ন। মানুষ যত বেশি ঈশ্বরের বাক্যের অভিজ্ঞতা লাভ করে, তত বেশি তারা ঈশ্বরের আত্মা সম্বন্ধে অবহিত হয়; ঈশ্বরের বাক্য অনুধাবন করার মাধ্যমে, মানুষ আত্মার কর্ম সম্পাদনের নীতিসমূহ উপলব্ধি করে এবং স্বয়ং বাস্তববাদী ঈশ্বরকে জানতে সক্ষম হয়। বস্তুত, ঈশ্বর যখন মানুষকে নিখুঁত এবং অর্জন করেন, তখন, আদতে, তিনি তাদের বাস্তববাদী ঈশ্বরের কর্ম সম্বন্ধে অবহিত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন; তিনি বাস্তববাদী ঈশ্বরের কার্যকে ব্যবহার করছেন মানুষকে তাঁর অবতাররূপ ধারণের প্রকৃত তাৎপর্য প্রদর্শন করতে, তাদের দেখাতে যে ঈশ্বরের আত্মা বাস্তবিকভাবেই মানুষের সম্মুখে আবির্ভূত হয়েছেন। মানুষ যখন ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত এবং নিখুঁত হয়ে ওঠে, তখন তারা বাস্তববাদী ঈশ্বরের অভিব্যক্তিসমূহ দ্বারা বিজিত হয়; বাস্তববাদী ঈশ্বরের বাক্যের মাধ্যমে তাদের পরিবর্তনসাধন হয় এবং তাদের অন্তরে ঈশ্বরের স্বীয় প্রাণশক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং তিনি যা (তা, তিনি তাঁর মানুষ্যত্বে যা অথবা তাঁর দেবত্বে যা, এই দুই স্বরূপের যেকোনোটিই হতে পারে), এবং যা তাঁর বাক্যের সারমর্ম—তার দ্বারা তারা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে, এবং মানুষ তাঁর বাক্য অনুসারে জীবনযাপন করতে সক্ষম হয়। ঈশ্বর যখন মানুষকে অর্জন করেন তখন তিনি তা করেন মূলতঃ বাস্তববাদী ঈশ্বরের বাক্য ও উচ্চারণসমূহ ব্যবহার করার মাধ্যমে, যাতে মানুষের ত্রুটিবিচ্যুতিগুলির সাথে মোকাবিলা করা যায়, তাদের বিচার এবং তাদের বিদ্রোহী স্বভাব উন্মোচিত করা যায়, এবং এই ভাবে তাদের যা প্রয়োজন তা তারা অর্জন করে নেয় এবং তারা দেখতে পায় যে ঈশ্বর মানুষের মাঝে আবির্ভূত হয়েছেন। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বাস্তববাদী ঈশ্বরের দ্বারা সম্পাদিত কার্য আসলে প্রতিটি মানুষকে শয়তানের প্রভাব থেকে উদ্ধার করার কার্য, তাদের সেই কলুষিত স্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কার্য, এবং তাদের ভ্রষ্ট স্বভাবকে বিদূরিত করার কার্য। বাস্তববাদী ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হওয়ার গভীরতম তাৎপর্য হল, সেই বাস্তববাদী ঈশ্বরকেই দৃষ্টান্তমূলক তথা আদর্শ হিসাবে গণ্য করে স্বাভাবিক মানবতাময় জীবন যাপন করতে সক্ষম হওয়া, সামান্যতম বিচ্যুতি অথবা অপগমন ছাড়াই বাস্তববাদী ঈশ্বরের বাক্য ও প্রয়োজন অনুযায়ী অনুশীলন করতে সক্ষম হওয়া, তিনি যে উপায়ে বলেন সেই উপায়েই অনুশীলন করে যাওয়া, এবং তিনি যা-কিছু বলেন তা অর্জন করতে সমর্থ হওয়া। এইভাবেই, ঈশ্বর তোমাকে অর্জন করবেন। যখন তুমি ঈশ্বর দ্বারা অর্জিত হও, তখন তুমি যে কেবল পবিত্র আত্মার কর্মের অধিকার প্রাপ্ত হও, তা-ই নয়; মুলত, তুমি বাস্তববাদী ঈশ্বরের প্রয়োজন অনুসারে জীবনযাপন করতে সক্ষম হয়ে ওঠো। কেবলমাত্র পবিত্র আত্মার কর্মে অধিকার থাকলেই যে তুমি যথার্থভাবে জীবনের অধিকারী হয়ে উঠবে, এমন নয়। আদতে, দেখতে হবে যে বাস্তববাদী ঈশ্বরের তোমার থেকে যা চাহিদা, সেই অনুযায়ী আচরণ করতে তুমি সক্ষম কি না, এরই সঙ্গে জড়িত রয়েছে তুমি ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হতে সমর্থ হবে কি না, সেই প্রশ্ন। এইগুলিই হল বাস্তববাদী ঈশ্বরের দেহধারণপূর্বক সম্পাদিত কর্মের মহত্তম তাৎপর্য। প্রকারান্তরে বললে, ঈশ্বর একদল মানুষকে অর্জন করেন প্রকৃত এবং বাস্তবিকভাবে দেহধারণের মাধ্যমে, সুস্পষ্ট ও জীবন্ত হয়ে ওঠার মাধ্যমে, মানুষের দ্বারা দৃষ্ট হওয়ার মাধ্যমে, দেহীভাবে যথার্থই আত্মার কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে, এবং, দেহধারণপূর্বক মানুষের সামনে দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়ে ওঠার মাধ্যমে। ঈশ্বরের দেহধারণপূর্বক আবির্ভাব মূলতঃ মানুষকে ঈশ্বরের বাস্তবিক কার্যসমূহ দেখতে সক্ষম করার উদ্দেশ্যে, নিরাকার আত্মাকে দেহরূপ দান করার উদ্দেশ্যে, এবং মানুষ যাতে তাঁকে দর্শন ও স্পর্শ করতে পায় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই সংঘটিত হয়েছে। এইভাবে, ঈশ্বর যাদের সম্পূর্ণ করেছেন তারা তাঁকে অনুসরণ করে জীবনযাপন করবে, তাঁর দ্বারা অর্জিত হবে, তাঁর ইচ্ছার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। ঈশ্বর যদি মর্ত্যলোকে অবতীর্ণ না হয়ে কেবলমাত্র স্বর্গেই তাঁর বাক্য উচ্চারণ করতেন, তাহলে মানুষের পক্ষে ঈশ্বরকে জানা আজও সম্ভবপর হত না; তারা কেবল অন্তঃসারশূন্য তাত্ত্বিকতার মাধ্যমেই ঈশ্বরের কর্মসমূহের বিষয়ে প্রচার করতে সমর্থ হত এবং ঈশ্বরের বাক্যকে বাস্তবিকতা হিসাবে লাভ করতে সক্ষম হত না। ঈশ্বর যাদের অর্জন করতে চলেছেন তাদের সম্মুখে একটি দৃষ্টান্ত তথা আদর্শের ভূমিকা পালন করার উদ্দেশ্যেই মূলতঃ তিনি মর্ত্যলোকে আগত হয়েছেন; কেবলমাত্র এইভাবেই মানুষ ঈশ্বরকে প্রকৃতই জানতে, স্পর্শ করতে ও দর্শন করতে সক্ষম হয়, এবং কেবলমাত্র তখনই তারা ঈশ্বরের দ্বারা যথার্থভাবে অর্জিত হতে পারে।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, তোমার জানা উচিত যে বাস্তববাদী ঈশ্বরই স্বয়ং ঈশ্বর
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।