ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 142
অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতার প্রধানত এসেছেন তাঁর বাক্য বলতে, মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুর ব্যাখ্যা করতে, মানুষের কীসে প্রবেশ করা উচিত তা নির্দেশ করতে, তাদের সামনে ঈশ্বরের কাজ, প্রজ্ঞা, সর্বশক্তিমত্তা এবং চমৎকারিত্ব প্রদর্শন করতে। ঈশ্বরের কথা বলার বিবিধ উপায়ের মাধ্যমে মানুষ ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠত্ব, পরমতা এবং তদুপরি, তাঁর নম্রতা এবং প্রচ্ছন্নতা প্রত্যক্ষ করে। মানুষ দেখে যে, ঈশ্বর সর্বশ্রেষ্ঠ, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বিনয়ী এবং প্রচ্ছন্ন থাকেন, এবং সবচেয়ে অকিঞ্চিৎকরও হতে পারেন। তাঁর কিছু কথা সরাসরি আত্মার দৃষ্টিকোণ থেকে, কিছু সরাসরি মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে এবং কিছু তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়। এতে, এটা পরিলক্ষিত হয় যে, ঈশ্বরের কাজের ধরন ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়, এবং তিনি বাক্যের মাধ্যমেই মানুষকে তা প্রত্যক্ষ করার অনুমতি দেন। অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের কাজ একই সঙ্গে স্বাভাবিক এবং বাস্তব, এবং এইভাবে অন্তিম সময়ের মানবগোষ্ঠী সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। ঈশ্বরের স্বাভাবিকত্ব এবং বাস্তবিকতার কারণে, সমস্ত মানুষ এই ধরনের পরীক্ষার মধ্যে প্রবেশ করেছে; অর্থাৎ মানুষ যে এই পরীক্ষার মধ্যে অবতরণ করেছে তা ঈশ্বরের স্বাভাবিকত্ব এবং বাস্তবিকতার কারণেই। যীশুর যুগে কোনো ধারণা বা পরীক্ষা ছিল না। কারণ যীশুর করা বেশিরভাগ কাজই মানুষের ধারণার সাথে সুসঙ্গত ছিল, মানুষ তাঁকে অনুসরণ করত আর তাঁর বিষয়ে তাদের মনে কোনো পূর্বধারণা ছিল না। মানুষ এতদিন পর্যন্ত যে সমস্ত পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে, তার মধ্যে বর্তমানের পরীক্ষাই সবচেয়ে কঠিন, এবং যখন বলা হয় যে, এই মানুষেরা নিদারুণ ক্লেশ অতিক্রম করে এসেছে, তখন এই ক্লেশের কথাই বলা হয়। বর্তমানে এই সমস্ত মানুষের মনে বিশ্বাস, ভালোবাসা, যন্ত্রণা স্বীকার এবং আজ্ঞাকারিতা উৎপন্ন করার জন্যই ঈশ্বর বাক্য বলেন। অন্তিম সময়ের ঈশ্বরের অবতারের বাক্য মানুষের প্রকৃতি ও নির্যাস, তার আচরণ আর আজ যার মধ্যে তার প্রবেশ করা উচিত, সেই অনুযায়ীই বলা হয়। তাঁর বাক্যগুলি একই সাথে বাস্তব ও স্বাভাবিক: তিনি যেমন আগামীর কথা বলেন না, তেমনই বিগতকালের প্রতিও ফিরে তাকান না; তিনি কেবল সেগুলির কথাই বলেন, যার মধ্যে বর্তমানে প্রবেশ করা উচিত, যেগুলির অনুশীলন করা উচিত এবং বোঝা উচিত। যদি বর্তমানকালে এমন কেউ আবির্ভূত হয় যে সংকেত ও আশ্চর্যজনক বিষয় প্রদর্শন করতে পারে, অপদেবতা বিতাড়নে ও পীড়িতদের নিরাময়ে সক্ষম হয় এবং বিবিধ অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে পারে, আর যদি সেই ব্যক্তি দাবি করে যে সে-ই হল আবির্ভূত যীশু, তাহলে সে হল মন্দ আত্মাদের সৃষ্ট যীশুর অনুকরণকারী এক নকল সত্তা। একথা মনে রেখো! ঈশ্বর একই কাজের পুনরাবৃত্তি করেন না। যীশুর কাজের পর্যায় ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, এবং ঈশ্বর কখনোই সেই কাজের পর্যায়ের আর দায়িত্ব নেবেন না। ঈশ্বরের কাজ মানুষের ধারণার সাথে মেলে না; উদাহরণস্বরূপ, পুরাতন নিয়মে একজন মশীহের আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল এবং এই ভবিষ্যদ্বাণীর ফলাফল ছিল যীশুর আগমন। এটি ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে, অন্য মশীহের পুনরায় আগমন ঘটলে তা ভুল হবে। যীশু ইতিমধ্যেই একবার এসেছেন, আবারও যদি যীশু আসেন, তবে তা ভুল হবে। প্রতিটি যুগেরই এক-একটি নাম রয়েছে এবং প্রতিটি নামের মধ্যে সেই যুগের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মানুষের ধারণায়, ঈশ্বর অবশ্যই সর্বদা সংকেত এবং বিস্ময়কর ঘটনা প্রদর্শন করবেন, সর্বদা পীড়িতদের নিরাময় করবেন, অপদেবতা বিতাড়ন করবেন এবং সর্বদাই হুবহু যীশুর মতো হবেন। তবুও এইবার ঈশ্বর একদমই সেরকম নন। অন্তিম সময়ে এসেও, ঈশ্বর যদি এখনও সংকেত ও আশ্চর্যজনক ঘটনা প্রদর্শন করেন, অপদেবতা বিতাড়ন করেন এবং পীড়িতদের নিরাময় করেন—যদি তিনি যীশুর মতো ঠিক একই কাজ করেন—তাহলে ঈশ্বর একই কাজের পুনরাবৃত্তি করবেন এবং তাহলে যীশুর কাজের কোনো তাৎপর্য বা মূল্যই থাকবে না। এইভাবে, ঈশ্বর প্রতিটি যুগে কাজের এক-একটি পর্যায় নির্বাহ করেন। একবার তাঁর কাজের একটি পর্যায় শেষ হয়ে গেলে, শীঘ্রই মন্দ আত্মারা তা অনুকরণ করে, এবং শয়তান ঈশ্বরের পথে হাঁটা শুরু করলে ঈশ্বর তাঁর পদ্ধতি পরিবর্তন করেন। ঈশ্বরের কাজের একটি পর্যায় সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, মন্দ আত্মারা তা অনুকরণ করতে শুরু করে। তোমাদের অবশ্যই এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। ঈশ্বরের বর্তমানের কাজটি কেন যীশুর কাজের থেকে আলাদা? ঈশ্বর কেন বর্তমানে সংকেত ও বিস্ময়কর ঘটনা প্রদর্শন করেন না, অপদেবতা বিতাড়ন করেন না ও পীড়িতদের নিরাময় করেন না? যদি যীশুর কাজটি বিধানের যুগের কাজের মতো হত, তাহলে কি তিনি অনুগ্রহের যুগের ঈশ্বরের প্রতিনিধিত্ব করতে পারতেন? তিনি কি ক্রুশবিদ্ধকরণের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারতেন? যীশু যদি বিধানের যুগের মতো মন্দিরে প্রবেশ করতেন এবং বিশ্রামবার পালন করতেন, তাহলে কেউই তাঁকে নির্যাতন করত না, সকলেই আলিঙ্গন করত। যদি তা-ই হতো, তাহলে তিনি কি ক্রুশবিদ্ধ হতে পারতেন? তিনি কি মুক্তির কার্য সম্পন্ন করতে পারতেন? ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের অবতার যদি যীশুর মতো সংকেত ও বিস্ময়কর ঘটনা প্রকাশ করতেন তাহলে তাতে কী লাভ হত? একমাত্র ঈশ্বর অন্তিম সময়ে যদি তাঁর কাজের অন্য একটি অংশ, অর্থাৎ তাঁর পরিচালনামূলক পরিকল্পনার অংশের কাজ করেন, তবেই মানুষ ঈশ্বর সম্পর্কে গভীরতর জ্ঞান লাভ করতে পারে, এবং শুধুমাত্র তখনই ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনা সম্পূর্ণ হতে পারে।
—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বরের বর্তমানের কার্যকে জানা
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।