ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 361

মানুষের প্রকৃতি আমার সারসত্য থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন; কারণ মানুষের কলুষিত প্রকৃতি উদ্ভূত হয়েছে সম্পূর্ণরূপে শয়তান থেকে; মানুষের প্রকৃতি শয়তান দ্বারা প্রক্রিয়াকৃত ও কলুষিত হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ বেঁচে থাকে তার দুষ্টতা ও কদর্যতার প্রভাবে। মানুষ সত্যের জগতে বা পবিত্র পরিবেশে বেড়ে ওঠে না এবং আলোর মধ্যে তো একেবারেই বাস করে না। অতএব, জন্ম-মুহূর্ত থেকেই কারো পক্ষে স্বীয় প্রকৃতির মধ্যে সত্যকে ধারণ করা সম্ভব নয়, এবং, তারা ঈশ্বরের ভয়, ও মান্য করার সত্তা নিয়ে তো জন্মগ্রহণ করতেই পারে না। বরং, তারা এমন একটি প্রকৃতির অধিকারী যা ঈশ্বরের বিরোধিতা করে, ঈশ্বরের অবাধ্য হয় এবং সত্যের প্রতি তাদের কোন ভালবাসা থাকে না। এই প্রকৃতিটিই হল সেই সমস্যা যা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই—বিশ্বাসঘাতকতা। বিশ্বাসঘাতকতা হল ঈশ্বরের প্রতি প্রতিটি ব্যক্তির প্রতিরোধের উৎস। এটি এমন একটি সমস্যা যা শুধুমাত্র মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান, আমার মধ্যে নয়। কেউ কেউ প্রশ্ন করবে: সকল মানুষই খ্রীষ্টের মতোই পৃথিবীতে বাস করে, তাহলে সমস্ত মানুষের এমন প্রকৃতি কেন যা ঈশ্বরকে বিশ্বাসঘাতকতা করে, যেখানে খ্রীষ্টের প্রকৃতি এরকম নয়? এটি এমন একটি প্রশ্ন যা তোমাদেরকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।

মানবজাতির অস্তিত্বের ভিত্তি হল আত্মার বারংবার দেহধারণ। অন্য কথায়, প্রতিটি ব্যক্তি দৈহিক ভাবে মানবজীবন লাভ করে যখন তাদের আত্মা দেহধারণ করে। একজন ব্যক্তির দেহের জন্মের পর, তার জীবন ততক্ষণ পর্যন্ত থাকে যতক্ষণ না রক্ত-মাংসের দেহ তার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছয়, অর্থাৎ সেই শেষ মুহূর্ত যখন আত্মা তার আবরণ ত্যাগ করে। ব্যক্তির আত্মা বারংবার আসে এবং যায়, আসার এবং যাওয়ার সাথে সাথে এই প্রক্রিয়াটি বারবার পুনরাবৃত্ত হয়, এইভাবে সমস্ত মানবজাতির অস্তিত্ব বজায় থাকে। রক্ত-মাংসের দেহের জীবনও মানুষের আত্মার জীবন, এবং মানুষের আত্মা মানুষের রক্ত-মাংসের শরীরের অস্তিত্বকে অবলম্বন দেয়। অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তির জীবন তার আত্মা থেকে আসে; আর জীবন দেহের অন্তর্জাত নয়। সুতরাং, মানুষের প্রকৃতি তার আত্মা থেকে আসে, তার দেহ থেকে নয়। প্রতিটি ব্যক্তির আত্মাই শুধুমাত্র জানে যে সে শয়তানের প্রলোভন, অত্যাচার এবং দুর্নীতি কীভাবে অনুভব করেছে। এসব বিষয় মানুষের দেহের কাছে অজানা। অতএব, মানবজাতি অজান্তেই ক্রমশই আরও অন্ধকার, আরও নোংরা, এবং আরও বেশি খারাপ হয়ে উঠতে থাকে, সঙ্গে সঙ্গে আমার এবং মানুষের মধ্যে দূরত্ব ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং মানবজাতির দিনগুলি আরও বেশি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে উঠতে থাকে। মানবজাতির আত্মা শয়তানের দখলে এবং তাই মানবদেহও অবশ্যই শয়তানের দখলে রয়েছে। কী করেই বা এই রকম একটা শরীর আর এইরকম একটা মানবজাতি ঈশ্বরের প্রতিরোধ করত না? তারা কিভাবে সহজাতভাবে তাঁর উপযুক্ত হয়ে উঠতে পারত? আমি শয়তানকে মধ্যাকাশে নিক্ষেপ করেছি কারণ সে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাহলে, মানুষ তাদের সম্পর্ক থেকে কীভাবে মুক্ত হতে পারত? ঠিক এই কারণেই মানুষের প্রকৃতিও হল বিশ্বাসঘাতকতা করা। আমি বিশ্বাস করি যে তোমরা একবার এই যুক্তিটি বুঝতে পেরে গেলে, তোমাদের মধ্যে খ্রীষ্টের সারসত্যের প্রতি বিশ্বাসও চলে আসা উচিত। ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা ধারণ করা দেহ হল ঈশ্বরের নিজস্ব দেহ। ঈশ্বরের আত্মা হল সর্বোৎকৃষ্ট; তিনি সর্বশক্তিমান, পবিত্র এবং ন্যায়পরায়ণ। তাই একইভাবে তাঁর দেহও সর্বোৎকৃষ্ট, সর্বশক্তিমান, পবিত্র ও ধার্মিক। এই ধরনের দেহ কেবল সেই কাজ করতেই সক্ষম যা মানবজাতির পক্ষে ধার্মিক এবং কল্যাণকর, যা পবিত্র, মহিমান্বিত এবং পরাক্রমশালী; সে এমন কিছু করতে অক্ষম যা সত্যকে লঙ্ঘন করে, যা নৈতিকতা এবং ন্যায়বিচারকে লঙ্ঘন করে এবং ঈশ্বরের আত্মার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে এমন কিছু করতে তো আরোই সক্ষম নয়। ঈশ্বরের আত্মা পবিত্র, এবং এইজন্য তাঁর দেহ শয়তান দ্বারা কলুষিত হতে পারে না; মানুষের শরীরের তুলনায় তাঁর দেহের সারসত্য হল ভিন্ন। কারণ ঈশ্বর নয়, মানুষ শয়তান দ্বারা কলুষিত হয়েছে; শয়তানের পক্ষে ঈশ্বরের দেহকে কলুষিত করা সম্ভব নয়। এইভাবে, মানুষ এবং খ্রীষ্ট একই স্থানের মধ্যে বসবাস করা সত্ত্বেও, কেবলমাত্র মানুষই শয়তান দ্বারা আচ্ছন্ন হয়, ব্যবহৃত হয় এবং তার ফাঁদে আটকা পড়ে। অন্যদিকে, খ্রীষ্ট শয়তানের দূষণের পক্ষে চিরকাল দুর্ভেদ্য, কারণ শয়তান কখনই সর্বোচ্চ স্থানে উঠতে সক্ষম হবে না এবং কখনই ঈশ্বরের নিকটে পৌঁছাতে পারবে না। আজ, তোমাদের সকলকে একথা অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে শয়তান দ্বারা কলুষিত মানবজাতিই হল একমাত্র, যে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। খ্রীষ্টের ক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকতার সমস্যা সর্বদাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অত্যন্ত গুরুতর এক সমস্যা: বিশ্বাসঘাতকতা (২)

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 205

তোমাদের সমস্ত কিছু আমার কাজে নিবেদন করা উচিত। তোমাদের সেই কাজ করা উচিত যাতে আমার উপকার হয়। তোমরা যা কিছু বোঝো না তার সমস্তটাই আমি ব্যাখ্যা...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 22

যীশু যে কাজ করেছিলেন তা সেই যুগের মানুষের প্রয়োজনের সাথে সঙ্গত ছিল। তাঁর কাজ ছিল মানবজাতিকে মুক্তি দান করা, তাদের পাপের ক্ষমা করা, আর তাই...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 188

অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কার্যের দ্বারা, এবং আজ তাঁর পরিকল্পিত যে কার্য তিনি তোমাদের মাঝে করে চলেছেন, তার দ্বারা তোমরা যে সর্বোচ্চ উন্নতি এবং...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন