ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 334

গন্তব্য সংক্রান্ত বিষয়টির যখনই উল্লেখ করা হয়, তোমরা বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করো; উপরন্তু, এটি এমন একটি বিষয় যার প্রতি তোমরা বিশেষভাবে সংবেদনশীল। কিছু মানুষ একটি উত্তম গন্তব্য অর্জনের উদ্দেশ্যে মাটিতে তাদের মাথা ঠুকতে, ঈশ্বরের সামনে নতজানু হতে, সর্বদাই প্রস্তুত। তোমাদের এই আগ্রহ শব্দে প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই, আমি সেটা এমনিতেই উপলব্ধি করতে পারি। বিষয়টা এইটুকুই, যে, তোমরা চাও না তোমাদের পার্থিবদেহ দুর্দশায় পড়ুক, এবং ভবিষ্যতে চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করতে তোমরা আরোই কম ইচ্ছুক। তোমরা শুধু আরও একটু বেশি স্বাধীন ভাবে, আরও একটু সহজে জীবনযাপন করতে চাও। এবং তাই যখনই গন্তব্যের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়, তোমরা বিশেষ বিচলিত বোধ করো, অত্যন্ত শঙ্কিত হয়ে পড়ো যে, যদি ঈশ্বরের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগী না হও, তবে তুমি ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে তুলতে পারো, এবং সেক্ষেত্রে তোমায় তোমার প্রাপ্য প্রতিফল ভোগ করতে হবে। তোমরা তোমাদের গন্তব্যের জন্য আপোষ করতে দ্বিধা করোনি, এবং এমনকি, তোমাদের মধ্যে অনেকে যারা একসময় প্রতারণাপূর্ণ এবং অস্থিরচিত্ত ছিল, তারা হঠাৎ বিশেষভাবে সুশীল এবং আন্তরিক হয়ে উঠেছে; তোমার এই আন্তরিক রূপ মানুষকে অত্যন্ত ভীত করে তোলে। তথাপি, তোমাদের সকলের হৃদয় “সৎ”, এবং তোমরা ক্রমাগত আমার কাছে তোমাদের হৃদয়ের গোপন বিষয়গুলি, তা ক্ষোভ, কপটতা বা ভক্তি যাই হোক না কেন, কিছুই গোপন না করে উজাড় করে দিয়েছ। সর্বোপরি, তোমরা আমার কাছে অত্যন্ত অকপটে সেই বিশেষ উপাদানগত বিষয়গুলি “স্বীকার” করেছো যেগুলি তোমাদের সত্তার গভীরে নিভৃতে রয়েছে। অবশ্যই, আমি কখনই এই জাতীয় বিষয়গুলি এড়িয়ে যাইনি, কারণ আমার কাছে সেগুলি অত্যন্ত পরিচিত হয়ে উঠেছে। ঈশ্বরের সম্মতি লাভ করার জন্য মাথার সামান্য একটি কেশ ত্যাগ করার চেয়ে তোমরা বরং চূড়ান্ত গন্তব্যলাভের জন্য আগুনের সাগরে প্রবেশ করতেও প্রস্তুত। এমন নয় যে আমি তোমাদের সঙ্গে অত্যন্ত প্রাচীনপন্থী আচরণ করছি; বিষয়টি এই যে, আমি যা কিছু কর্ম করি তার সম্মুখীন হওয়ার জন্য তোমাদের হৃদয়ে ভক্তির অত্যন্ত অভাব রয়েছে। আমি এইমাত্র যা বলেছি তা তোমরা হয়তো বুঝতে পারোনি, অতএব আমাকে একটি সহজ ব্যাখ্যা প্রদান করতে দাও: তোমাদের প্রয়োজন নেই সত্য এবং জীবনের, নেই নিজেদের পরিচালিত করার নীতির, এমনকি, আমার কষ্টসাধ্য কাজেও তোমাদের প্রয়োজন নেই, তোমরা শুধুমাত্র যা চাও তা হচ্ছে তোমাদের দৈহিক অধিকারের বস্তু—সম্পদ, পদমর্যাদা, পরিবার, বিবাহ এরকম আরো অনেক কিছু। তোমরা আমার বাক্য এবং কর্ম সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছো, তাই আমি তোমাদের বিশ্বাসকে একটি শব্দে প্রকাশ করতে পারি: আন্তরিকতাহীন। তোমরা যে বস্তুগুলির প্রতি সম্পূর্ণরূপে নিবেদিত সেগুলি অর্জনের জন্য তোমরা যে কোনও দূরত্ব অতিক্রম করতে পারো, কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি যে, তোমাদের ঈশ্বর-বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ের ক্ষেত্রে তোমরা এমনটা করবে না। বরং, তোমরা আপেক্ষিকভাবে নিষ্ঠাবান, এবং আপেক্ষিকভাবে আন্তরিক। এ কারণেই আমি বলি যে, যাদের অন্তরে পরম আন্তরিকতার অভাব রয়েছে, তাদের ঈশ্বর-বিশ্বাস ব্যর্থ। গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করে দেখো—তোমাদের মধ্যে কি এমন বিস্তর ব্যর্থতা রয়েছে?

তোমার জানা উচিত যে, ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের ক্ষেত্রে সাফল্য মানুষের নিজের কর্মের ফলস্বরূপ অর্জিত হয়; যখন মানুষ সফলতা অর্জন করে না বরং পরিবর্তে ব্যর্থ হয়, সেটাও তাদের নিজের কর্মের ফলস্বরূপ হয়ে থাকে, এবং এক্ষেত্রে অন্য কোনও কারণের কোনও ভূমিকা থাকে না। আমি বিশ্বাস করি যে, তোমরা কিছু অর্জনের জন্য এমন যে কোনও কিছু করতে পারো যা ঈশ্বরে বিশ্বাস করার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অনেক বেশি পীড়াদায়ক, এবং তোমরা এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে, এতটাই যে, সেক্ষেত্রে তুমি কোনও ত্রুটি সহ্য করতে সম্মত হবে না; এই ধরনের একাধিক বিরামহীন প্রচেষ্টায় তোমরা সবাই জীবন ভরিয়ে তুলেছ। এমনকি, যে পরিস্থিতিতে তোমরা নিজের পরিবারের কোনো সদস্যকে প্রতারণা করবে না, সেরকম পরিস্থিতিতেও তোমরা আমার দেহরূপের সাথে প্রতারণা করতে পারো। এই তোমাদের ধারাবাহিক আচরণ এবং নীতি যার দ্বারা তোমরা জীবন যাপন করো। তোমরা কি এখনও নিজেদের গন্তব্যের স্বার্থে আমাকে প্রতারিত করার জন্য একটি মিথ্যা মুখোশ পরে নেই, যাতে তোমাদের গন্তব্য নিখুঁত সুন্দর এবং তুমি ঠিক যেমনটা আকাঙ্ক্ষা করো তেমন হয়ে উঠতে পারে? আমি জানি যে তোমাদের ভক্তি এবং তোমাদের নিষ্ঠা ক্ষণস্থায়ী। এটা কি সঠিক নয় যে তোমাদের সংকল্প, এবং তোমরা যে মূল্য প্রদান করো, তা শুধুমাত্র বর্তমান মুহূর্তের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য নয়? শুধুমাত্র একটি সুন্দর গন্তব্যকে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে তোমরা শেষ প্রচেষ্টা চালাতে চাও। সত্যের কাছে ঋণী হওয়া এড়ানোর জন্য যে তোমরা এই প্রচেষ্টা করো তা নয়; আমি যে মূল্য প্রদান করেছি তা পরিশোধ করার জন্যেও নয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে, যা চাও তা পাওয়ার জন্য তুমি শুধুমাত্র চতুর কৌশল প্রয়োগে ইচ্ছুক, কিন্তু এজন্য প্রকাশ্য সমরে অবতীর্ণ হতে চাও না। এটাই কি তোমাদের আন্তরিক ইচ্ছা নয়? তোমরা নিজেদের ছদ্মবেশের আড়ালে রেখো না, বা গন্তব্যের বিষয়ে এতটাও চিন্তা করো না যে আহার ও নিদ্রা বিনষ্ট হয়। এটা কি সত্য নয় যে, অন্তিমে, তোমাদের পরিণতি নির্ধারিত হয়েই যাবে? তোমাদের প্রত্যেকের, উন্মুক্ত এবং সৎ হৃদয়ের সাথে, নিজের ক্ষমতার সর্বোত্তম প্রয়োগের দ্বারা দায়িত্ব পালন করা উচিত, এবং প্রয়োজনীয় মূল্য যাই হোক না কেন, তা প্রদানে প্রস্তুত থাকা উচিত। তোমরা যেমন বলেছ, যখন সেই দিন আসবে, ঈশ্বর এমন কাউকে অবহেলা করবেন না যে তাঁর জন্য কষ্ট করেছে বা তাঁর জন্য মূল্য পরিশোধ করেছে। এই ধরনের দৃঢ় প্রত্যয়ে স্থির থাকা আবশ্যক, এবং তোমাদের যথার্থভাবেই তা কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়। শুধুমাত্র এই ভাবে তোমাদের জন্য আমি আমার মনকে শান্ত রাখতে সক্ষম হই। অন্যথায়, তোমরা চিরকালের জন্য সেই ধরনের মানুষ হয়ে উঠবে যাদের জন্য আমি আমার মনকে শান্ত রাখতে পারবো না, এবং চিরকালের জন্য আমার অরুচির বস্তু হয়ে উঠবে। যদি তোমরা সকলে নিজেদের বিবেককে অনুসরণ করো, এবং আমার কর্মের জন্য কোনও প্রচেষ্টা এড়িয়ে না গিয়ে, এবং আমার সুসমাচারের কর্মে সারাজীবনের শক্তি উৎসর্গ করে, আমার জন্য নিজেদের সমস্ত কিছু অর্পণ করতে পারো, সেক্ষেত্রে আমার হৃদয় কি তোমাদের জন্য প্রায়শই আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠবে না? এইভাবে, আমি আমার মনকে তোমাদের বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে শান্ত রাখতে সক্ষম হব, তাই নয় কি? এটা লজ্জাজনক যে, তোমরা যা করতে পারো তা আমার প্রত্যাশার একটি শোচনীয় রকমের ক্ষুদ্র অংশ। এই অবস্থায়, তোমরা কী করে নিজেদের আশা অনুযায়ী কিছু আমার কাছে চাইবার সাহস করতে পারো?

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, বিষয় গন্তব্য

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 403

এই বিষয়ে আরও বলতে গেলে, ঈশ্বরের বাক্যের কথাই তোমার কথা বলার নীতি হওয়া উচিত। সাধারণত, যখন তোমরা একত্রিত হও, তখন তোমাদের উচিত ঈশ্বরের বাক্য...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: অবতার জন্ম | উদ্ধৃতি 129

ঈশ্বরের সম্পাদিত কাজের প্রতিটি পর্যায়েরই নিজস্ব ব্যবহারিক তাৎপর্য রয়েছে। অনেককাল আগে, যীশু যখন এসেছিলেন, তখন তিনি পুরুষ রূপে এসেছিলেন, আর...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কাজ | উদ্ধৃতি 57

খ্রিষ্ট অন্তিম সময়ে প্রাণ সৃষ্টি করেন এবং সত্যের চিরস্থায়ী ও শাশ্বত পথ নিয়ে আসেন। এই সত্যের পথেই মানুষ জীবন লাভ করে এবং এটিই একমাত্র পথ...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 25

মানুষ যদি অনুগ্রহের যুগে আটকে থাকে, তবে তারা কখনই তাদের ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্তি পাবে না, ঈশ্বরের অন্তর্নিহিত স্বভাবকে জানা তো দূরের কথা।...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন