ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 320

যারা অন্যদের প্রতি সন্দেহপ্রবণ নয় আমি তাদের নিয়ে তৃপ্ত হই, এবং যারা সহজে সত্যকে গ্রহণ করতে পারে আমি তাদের পছন্দ করি; এই দুই ধরণের মানুষের প্রতি আমি অত্যন্ত যত্নশীল, কারণ আমার চোখে তারা সৎ মানুষ। তুমি যদি প্রতারক হও, তাহলে তুমি সব মানুষ এবং বিষয়ের প্রতি সতর্ক এবং সন্দিগ্ধ হবে এবং এইভাবে আমার প্রতি তোমাদের বিশ্বাস সন্দেহের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হবে। আমি কখনোই এই ধরণের বিশ্বাস স্বীকার করতে পারি নি। প্রকৃত বিশ্বাসের অভাবে তোমরা আরও বেশি করে প্রকৃত ভালোবাসাশূণ্য। তুমি যদি ঈশ্বরের প্রতি সন্দেহপ্রবণ হও এবং ইচ্ছেমতো তাঁর সম্পর্কে অনুমান করতে প্রবৃত্ত হও, তাহলে সব মানুষের মধ্যে প্রশ্নাতীতভাবে তুমিই সর্বাধিক প্রতারক। তুমি অনুমান কর ঈশ্বর কখনও মানুষের মতো হতে পারেন কিনা: ক্ষমার অযোগ্য পাপী, ক্ষুদ্রমনা, ন্যায় ও যুক্তি বর্জিত, ন্যায়বিচারের বোধের অভাবযুক্ত, বিদ্বেষপূর্ণ কৌশলযুক্ত, বিশ্বাসঘাতক ও ধূর্ত, মন্দ ও অন্ধকার দ্বারা তৃপ্ত, ইত্যাদি। ঈশ্বর সম্পর্কে মানুষের ন্যূনতম জ্ঞানের অভাবের কারণেই তাদের এমন চিন্তাধারা নয় তো? এই ধরণের বিশ্বাস পাপের থেকে কোনো অংশে কম নয়! এমনও কিছু মানুষ আছে যারা বিশ্বাস করে যে মূলত তারাই আমাকে তৃপ্ত করে, যারা আমার তোষামোদ ও পদলেহন করে, এবং যাদের এই ধরণের দক্ষতার অভাব রয়েছে তারা ঈশ্বরের গৃহে অবাঞ্ছিত হবে এবং সেইখানে নিজের স্থান হারাবে। এত বছর পরেও এটাই কি তোমাদের একমাত্র লব্ধ জ্ঞান? এটাই কি তোমরা অর্জন করেছো? এবং আমার সম্পর্কে তোমাদের জ্ঞান শুধু এই ভুল বোঝাবুঝিতে থেমে থাকে না; ততোধিক খারাপ বিষয় হল ঈশ্বরের আত্মার বিরুদ্ধে তোমাদের নিন্দা ও স্বর্গের বিষয়ে কুৎসা প্রচার। সেই কারণেই আমি বলি যে তোমাদের এইরূপ বিশ্বাস তোমাদেরকে আমার কাছ থেকে কেবল আরও বিপথে চালিত করবে এবং তোমরা আমার আরও বিরোধী হয়ে উঠবে। বহু বছরের কাজের মধ্য দিয়ে তোমরা অনেক সত্য দেখেছ, কিন্তু তোমরা কি জানো আমার কানে কি এসেছে? তোমাদের মধ্যে কতজন সত্য গ্রহণে ইচ্ছুক? তোমরা সকলেই বিশ্বাস করো যে তোমরা সত্যের মূল্য চুকাতে প্রস্তুত, কিন্তু তোমাদের মধ্যে কতজন প্রকৃত অর্থে সত্যের জন্য কষ্ট সহ্য করেছো? তোমাদের হৃদয়ে অন্যায়পরায়ণতা ব্যতীত আর কিছুই নেই, যা তোমাদের ভাবতে বাধ্য করে যে প্রত্যেকে, সে যেই হোক না কেন, সমানভাবে প্রতারণাপ্রবণ এবং কুটিল—এতটাই যে তোমরা এও বিশ্বাস কর যে ঈশ্বরের অবতারও একজন সাধারণ মানুষের মতো দয়ালু হৃদয় অথবা পরোপকারী ভালোবাসা বর্জিত হতে পারেন। তদতিরিক্ত, তোমরা বিশ্বাস কর যে একটি মহৎ চরিত্র এবং একটি করুণাময়, পরোপকারী প্রকৃতি কেবলমাত্র স্বর্গস্থ ঈশ্বরের মধ্যেই বিদ্যমান। তোমরা বিশ্বাস কর যে, এইরূপ সাধুব্যক্তির কোনো অস্তিত্ব নেই, এই পৃথিবীতে কেবল অন্ধকার এবং মন্দেরই রাজত্ব, যেখানে ঈশ্বর হলেন এমন কিছু যাকে বিশ্বাস করে মানুষ ভালো এবং সুন্দরের প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে অর্পণ করে, তাদের দ্বারা উদ্ভাবিত এক কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। তোমাদের ধারণা, স্বর্গস্থ ঈশ্বর অত্যন্ত ঋজু, ধার্মিক এবং মহান, উপাসনা ও শ্রদ্ধার যোগ্য; যেখানে পৃথিবীর এই ঈশ্বর স্বর্গস্থ ঈশ্বরের একটি বিকল্প ও উপকরণ মাত্র। তোমরা বিশ্বাস কর এই ঈশ্বর স্বর্গের ঈশ্বরের সমতুল হতে পারেন না, একই নিঃশ্বাসে তাঁর সাথে নাম নেওয়া তো দূর অস্ত। যখন ঈশ্বরের মহত্ত্ব এবং সম্মানের প্রসঙ্গ আসে, সেগুলি স্বর্গস্থ ঈশ্বরের মহিমার অন্তর্গতরূপে প্রতীত হয়, কিন্তু যখন মনুষ্যোচিত প্রকৃতি এবং ভ্রষ্টাচারের প্রসঙ্গ আসে, সেগুলি পৃথিবীর ঈশ্বরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বৈশিষ্ট্যরূপে গণ্য হয়। স্বর্গের ঈশ্বর চিরকালীন সুউচ্চ, যেখানে পৃথিবীর ঈশ্বর সর্বদা নগণ্য, দুর্বল এবং অদক্ষ। স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে আবেগের কোনো স্থান নেই, আছে শুধু ন্যায়পরায়ণতা, যেখানে পৃথিবীর ঈশ্বরের কোনো সততা বা যুক্তি নেই, কেবলমাত্র স্বার্থপর অভিপ্রায় আছে। স্বর্গের ঈশ্বরের ন্যূনতম কুটিলতা নেই এবং তিনি চিরকাল বিশ্বস্ত, যেখানে পৃথিবীর ঈশ্বরের সর্বদা একটি অসৎ দিক রয়েছে। স্বর্গের ঈশ্বর মানুষকে অত্যন্ত ভালোবাসেন, যেখানে পৃথিবীর ঈশ্বর মানুষের প্রতি অপর্যাপ্ত যত্ন প্রদর্শন করেন, এমনকি তাকে সম্পূর্ণরূপে অবহেলাও করেন। তোমাদের হৃদয়ে এই ভ্রান্ত ধারণা দীর্ঘকাল যাবত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা সঞ্চারিত হতে পারে। তোমরা খ্রীষ্টের সমস্ত কর্ম অধার্মিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা কর এবং তাঁর সব কাজ, এবং তাঁর পরিচয় ও সারসত্য দুষ্টের দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন কর। তোমরা একটি মারাত্মক ভুল করেছো, যে ভুল তোমাদের পূর্ববর্তীরাও কখনও করে নি। অর্থাৎ তোমরা কেবলমাত্র মুকুট-পরিহিত স্বর্গের সুউচ্চ ঈশ্বরের সেবা কর, এবং কখনোই সেই ঈশ্বরের প্রতি মনোযোগী হও না, যাকে তোমরা এতটাই তুচ্ছ মনে করো যে তিনি যেন তোমাদের কাছে অদৃশ্য। এটা কি তোমাদের পাপ নয়? এটা কি ঈশ্বরের স্বভাবের বিরুদ্ধে তোমাদের অপরাধের একটি আদর্শ উদাহরণ নয়? তোমরা স্বর্গের ঈশ্বরের উপাসনা কর। তোমরা সুউচ্চ প্রতিমূর্তির বন্দনা কর এবং যারা তাদের বাগ্মিতার জন্য বিশিষ্ট তাদের সম্মান কর। তুমি সানন্দে সেই ঈশ্বরের আদেশ মেনে চল যিনি তোমাকে ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারেন এবং সেই ঈশ্বরের কামনা কর যিনি তোমার সমস্ত বাসনা পূরণ করেন। তোমরা একমাত্র যার উপাসনা কর না, তিনি হলেন এই ঈশ্বর যিনি সুউচ্চ নন; একমাত্র যা তুমি ঘৃণা করো তা হচ্ছে এই ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগ, যে ঈশ্বরের সম্বন্ধে কেউ উচ্চ ধারণা পোষণ করতে পারে না। একমাত্র যে কাজ তুমি করতে অনিচ্ছুক, তা হল সেই ঈশ্বরের সেবা যিনি তোমাকে কখনোই একটি কপর্দকও দেন নি, এবং একমাত্র যিনি তোমাকে তাঁর জন্য আকুল করতে অক্ষম তিনি হলেন এই অনাকর্ষী ঈশ্বর। এই ঈশ্বর তোমার দিগন্তকে প্রসারিত করাতে, যেন তুমি কোনো ধন-সম্পদ খুঁজে পেয়েছো এমন অনুভব করাতে পারেন না, তোমার ইচ্ছাপূরণ তো দূর অস্ত। তাহলে কেন তুমি তাঁকে অনুসরণ কর? তুমি কি নিজেকে কখনও এইভাবে প্রশ্ন করে দেখেছো? তুমি যা কর তা যে কেবল এই খ্রীষ্টকে ক্ষুব্ধ করে তা-ই নয়; আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে তা স্বর্গের ঈশ্বরকে ক্ষুব্ধ করে। আমি মনে করি, এটা ঈশ্বরের প্রতি তোমার বিশ্বাসের উদ্দেশ্য নয়!

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পৃথিবীতে ঈশ্বরকে কীভাবে জানা যাবে

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 188

অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কার্যের দ্বারা, এবং আজ তাঁর পরিকল্পিত যে কার্য তিনি তোমাদের মাঝে করে চলেছেন, তার দ্বারা তোমরা যে সর্বোচ্চ উন্নতি এবং...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 404

ঈশ্বরের বাক্য তোমার কাছে আসার সাথে সাথেই তোমার উচিত অবিলম্বে সেগুলি গ্রহণ করা এবং তা ভোজন ও পান করা। তোমার বোধগম্যতা নির্বিশেষে তোমাকে কিছু...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 537

তুমি যখন তোমার ভ্রষ্ট স্বভাব ত্যাগ করবে এবং স্বাভাবিক মানবতার জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে যাবে, কেবলমাত্র তখনই তুমি নিখুঁত হয়ে উঠবে। যদিও তুমি...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন