ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 305

তোমরা সর্বদা খ্রীষ্টকে দেখতে চাও, কিন্তু আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, নিজেদের এত উচ্চ মর্যাদায় রেখো না; যে কেউই খ্রীষ্টকে দেখতে পারে, কিন্তু আমার মতে কেউই খ্রীষ্টকে দেখার যোগ্য নয়। যেহেতু মানুষের প্রকৃতি মন্দ, অহঙ্কার এবং বিদ্রোহী মনোভাবে পরিপূর্ণ, যে মুহূর্তে তুমি খ্রীষ্টকে দেখবে, তোমার প্রকৃতি তোমাকে ধ্বংস করবে এবং মৃত্যুদণ্ড দেবে। একজন ভ্রাতা (বা ভগিনী)-র সাথে তোমার মেলামেশা তোমার বিষয়ে অনেক কিছু না-ও প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু তুমি যখন খ্রীষ্টের সাথে যুক্ত হও তখন ব্যাপারটা এত সহজ থাকে না। যেকোনো সময়, তোমার পূর্বধারণাগুলি বদ্ধমূল হতে পারে, অহঙ্কার অঙ্কুরিত হওয়া শুরু করতে পারে এবং বিদ্রোহী মনোভাব ফল বহন করতে পারে। এই ধরনের মনুষ্যত্ব নিয়ে তুমি কীভাবে খ্রীষ্টের সাথে যুক্ত হওয়ার উপযুক্ত হতে পারো? তুমি কি সত্যিই প্রতিদিনের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁকে ঈশ্বর হিসাবে মানতে সক্ষম? তোমার কি সত্যিই ঈশ্বরের কাছে সমর্পণের বাস্তবিকতা থাকবে? তোমাদের হৃদয়ে আসীন মহৎ ঈশ্বরকে তোমরা যিহোবা রূপে উপাসনা করে থাকো, অথচ যে খ্রীষ্ট দৃশ্যমান তাঁকে মানুষ হিসাবে বিবেচনা করো। তোমাদের বোধ খুবই নিকৃষ্ট এবং মনুষ্যত্ব খুবই হীন! তোমরা সর্বদা খ্রীষ্টকে ঈশ্বর হিসাবে বিবেচনায় অক্ষম; শুধুমাত্র মাঝে মাঝে, তোমার খেয়ালখুশি মতো, তুমি তাঁকে আঁকড়ে ধরো এবং তাঁকে ঈশ্বর হিসাবে উপাসনা করো। এই কারণেই আমি বলছি তোমরা ঈশ্বর বিশ্বাসী নও, বরং খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে তোমরা তাদের সহযোগী দল। এমনকি যারা অন্যদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে, সেসব মানুষদেরও প্রতিদান দেওয়া হয়, অথচ খ্রীষ্ট, যিনি তোমাদের মধ্যে এই ধরনের কাজ করেছেন, তিনি না পেয়েছেন মানুষের ভালবাসা, না পেয়েছেন তাদের প্রতিদান এবং সমর্পণ। এটা কি হৃদয়বিদারক বিষয় নয়?

ঈশ্বর বিশ্বাসের এই সমস্ত বছরে হয়ত তুমি কখনোই কাউকে অভিশাপ দাও নি বা কোনো খারাপ কাজ করো নি, তা সত্ত্বেও খ্রীষ্টের সাথে যুক্ত হওয়ার সময় তুমি সত্য বলতে পারো না, সততা সহকারে কাজ করতে পারো না অথবা খ্রীষ্টের বাক্য মান্য করতে পারো না। এই ক্ষেত্রে আমি বলবো, তুমি হলে এই বিশ্বের সবচেয়ে অশুভ ও বিদ্বেষপরায়ণ মানুষ। তুমি হয়ত তোমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, স্ত্রী (বা স্বামী), পুত্র কন্যা এবং পিতামাতার প্রতি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ও অনুগত, কখনোই কারোর থেকে সুবিধা নাও নি, কিন্তু যদি তুমি খ্রীষ্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হতে পারো, যদি তাঁর সাথে সমন্বিত হয়ে মেলামেশা না করতে পারো, তাহলে তুমি তোমার সমস্ত কিছু প্রতিবেশীর ত্রাণে ব্যয় করে দিলেও, অথবা তোমার পিতা, মাতা ও বাড়ির সদস্যদের নির্ভুল খেয়াল রাখলেও, আমি বলব যে তুমি এখনও দুর্নীতিপরায়ণ, তদুপরি কূট কৌশলে পূর্ণ। তুমি অন্যদের সাথে ভালোভাবে মেলামেশা করতে পারো অথবা কিছু ভালো কাজ করো বলেই নিজেকে খ্রীষ্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনে কোরো না। তুমি কি মনে করো যে তোমার দানশীল অভিপ্রায় স্বর্গের আশীর্বাদকে ফাঁকি দিতে পারবে? তুমি কি মনে করো যে কয়েকটা ভালো কাজ তোমার আনুগত্যের পরিবর্ত রূপে কাজ করবে? তোমাদের মধ্যে কেউই মোকাবিলার সম্মুখীন হতে বা অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন গ্রহণ করতে সক্ষম নও, এবং তোমরা সকলেই খ্রীষ্টের স্বাভাবিক মানবতাকে স্বাগত জানানোকে কঠিন মনে করো, তা সত্ত্বেও তুমি ঈশ্বরের প্রতি তোমার আনুগত্যের ভেরী অবিরাম বাজিয়ে চলেছ। তোমাদের মতো এহেন বিশ্বাস একটি উপযুক্ত প্রতিফল বহন করে আনবে। কল্পিত মায়ায় লিপ্ত হওয়া এবং খ্রীষ্টকে দেখার ইচ্ছা পোষণ করা বন্ধ করো, কারণ তোমরা আত্মিক উচ্চতায় খুবই ক্ষুদ্র, এতই নগণ্য যে তোমরা তাঁকে দেখারও যোগ্য নও। যখন তুমি তোমার বিদ্রোহী মনোভাব থেকে সম্পূর্ণরূপে শুদ্ধ হয়ে যাবে এবং খ্রীষ্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারবে, সেই মুহূর্তে ঈশ্বর স্বাভাবিকভাবেই তোমার কাছে আবির্ভূত হবেন। যদি অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন বা বিচারের মধ্যে দিয়ে না গিয়েই তুমি ঈশ্বরকে দেখতে যাও, তবে অবশ্যই তুমি ঈশ্বরের বিরোধী হয়ে যাবে এবং ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত হবে। মানুষের প্রকৃতি সহজাতভাবে ঈশ্বরের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, কারণ সমস্ত মানুষই শয়তানের সবচেয়ে গভীর কলুষের শিকার হয়েছে। মানুষ যদি তার নিজের ভ্রষ্ট আচরণের মাঝে থেকেই ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে, তবে নিশ্চিতভাবেই তা থেকে ভালো ফলাফল আসতে পারে না; তার কর্ম ও বাক্য অবশ্যই প্রতিটি পদে তার ভ্রষ্ট আচরণকে প্রকাশ করবে, এবং ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তার বিদ্রোহী মনোভাব তার প্রতিটি প্রেক্ষিত থেকেই প্রকাশিত হবে। নিজের অজান্তেই মানুষ খ্রীষ্টের বিরোধিতা করতে, তাঁকে প্রতারিত করতে, এবং তাঁকে পরিত্যাগ করতে যায়; যখন তা ঘটবে, মানুষ আরও বেশি অনিশ্চিত অবস্থায় থাকবে এবং এরকম চলতে থাকলে, সে দণ্ডের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

অনেকে বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত থাকা যদি এতই বিপজ্জনক হয়, তাহলে ঈশ্বরের থেকে দূরে থাকাই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ। এই ধরনের মানুষদের পক্ষে কী অর্জন করা সম্ভব? তারা কি ঈশ্বরের অনুগত হতে পারবে? নিশ্চিতভাবেই ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হওয়া কঠিন—কিন্তু তার কারণ হচ্ছে মানুষ কলুষিত, এর কারণ এই নয় যে ঈশ্বর তার সাথে যুক্ত হতে সক্ষম নন। তোমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে নিজেকে জানার সত্যের প্রতি আরো বেশি প্রয়াস নিবেদন করা। কেন তোমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাও নি? কেন তোমাদের স্বভাব তাঁর কাছে ঘৃণ্য? কেন তোমাদের বক্তব্য তাঁর ঘৃণার উদ্রেক করে? যখনই কিছুটা আনুগত্য প্রদর্শন করো, তখনই তোমরা নিজেদের গুণগান করতে থাকো, এবং প্রতিটি ছোট অবদানের জন্য একটি পুরষ্কার দাবি করো; যৎসামান্য আজ্ঞাকারিতা দেখানোর পরেই তোমরা অন্যদেরকে তুচ্ছ করে দেখ, এবং কিছু ছোট কাজ সম্পন্ন করেই ঈশ্বরের অবজ্ঞাকারী হয়ে যাও। ঈশ্বরকে গ্রহণ করার বিনিময়ে তুমি অর্থ, উপহার আর প্রশংসা দাবি করো। একটি বা দুটি মুদ্রা দান করতেই তোমার মনে কষ্ট হয়; আর দশটি মুদ্রা দিলে তো তুমি আশীর্বাদ পাওয়ার এবং অন্যের থেকে আলাদা আচরণ পাওয়ার আশা করো। তোমাদের মতো এহেন মানবতার কথা বলা বা শোনা স্বাভাবিকভাবেই আপত্তিকর। তোমাদের কথায় এবং কাজে প্রশংসনীয় কিছু আছে কি? যারা তাদের দায়িত্ব পালন করে আর যারা করে না; যারা নেতৃত্ব দেয় আর যারা অনুসরণ করে; যারা ঈশ্বরকে গ্রহণ করে আর যারা করে না; যারা দান করে আর যারা করে না; যারা প্রচার করে আর যারা সেই বাক্য গ্রহণ করে এবং এমনই আরও অনেকে: এই সমস্ত মানুষেরাই নিজেদের প্রশংসা করে। এটা কি তোমাদের কাছে হাস্যকর বলে মনে হয় না? তুমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করো এটা সম্পূর্ণরূপে জানার পরেও তুমি ঈশ্বরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারো না। তোমরা যে একেবারেই অযোগ্য তা ভালোভাবে জানার পরেও, তোমরা একই রকম গর্ব করতে থাকো। তোমাদের কি মনে হয় না যে তোমাদের বোধশক্তির এতটা অবনতি হয়েছে যে তোমাদের আর আত্ম-নিয়ন্ত্রণ নেই? এইরকম উপলব্ধি নিয়ে তুমি কীভাবে ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হওয়ার উপযুক্ত হবে? এই সন্ধিক্ষণে নিজেদের জন্য তোমরা ভয় পাও না? ইতিমধ্যেই তোমাদের স্বভাবের এমন অবনতি হয়েছে যে তুমি ঈশ্বরের সাথে সুসঙ্গত হতে অক্ষম। এই কারণে তোমাদের বিশ্বাস কি হাস্যকর নয়? তোমাদের বিশ্বাস কি অযৌক্তিক নয়? কীভাবে তুমি তোমার ভবিষ্যতে প্রবেশ করবে? কোন পথে এগোতে হবে তা তুমি কীভাবে বেছে নেবে?

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যারা খ্রীষ্টের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ তারা অবশ্যই ঈশ্বরের বিরোধীপক্ষ

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের কাজ সম্বন্ধে জানা | উদ্ধৃতি 188

অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের কার্যের দ্বারা, এবং আজ তাঁর পরিকল্পিত যে কার্য তিনি তোমাদের মাঝে করে চলেছেন, তার দ্বারা তোমরা যে সর্বোচ্চ উন্নতি এবং...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 18

যিহোবা ইস্রায়েলীদের উপর যে কাজ করেছিলেন, তা মানবজাতির কাছে ঈশ্বরের আদি পার্থিব স্থানটিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, যা আবার ছিল সেই পবিত্র স্থানও...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 321

তোমরা কামনা কর ঈশ্বর তোমাদের নিয়ে পুলকিত হবেন, তথাপি তোমরা ঈশ্বর থেকে অনেক দূরে রয়েছো। এখানে বিষয়টা কী? তোমরা শুধু তাঁর বাক্যকেই গ্রহণ...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: কর্মের তিনটি পর্যায় | উদ্ধৃতি 32

অন্তিম সময়ে, ঈশ্বর তাঁর বাক্য প্রকাশ করতে এসেছেন। তিনি আত্মার দৃষ্টিকোণ থেকে, মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে, এবং তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন