ঈশ্বর যেভাবে মানুষকে ব্যবহার করেন

পবিত্র আত্মা যাদের বিশেষ উপদেশ আর পথনির্দেশ দেন তারা ছাড়া আর কেউ স্বাধীন হয়ে বাঁচতে পারে না, কারণ ঈশ্বর যাদের ব্যবহার করেন সেসব মানুষের সেবাব্রত আর পরিচালনা তাদের দরকার। তাই প্রতি যুগে ঈশ্বর বিভিন্ন মানুষকে উন্নীত করেন যারা তাঁর কাজের জন্য গির্জাগুলোকে পরিচালনায় ব্যস্ত থাকে। অর্থাৎ, ঈশ্বর যাদের অনুগ্রহ এবং অনুমোদন করেন, ঈশ্বরের কাজ তাদের মাধ্যমেই করতে হবে। পবিত্র আত্মা যাতে কাজ করতে পারেন তার জন্য তাদের মধ্যে যে অংশটি সেই কাজের উপযুক্ত তাকেই তিনি ব্যবহার করেন। পবিত্র আত্মা তাদের সর্বগুণান্বিত করে তোলেন যাতে তারা ঈশ্বরের কাজের উপযুক্ত হয়ে ওঠে। যেহেতু মানুষের উপলব্ধির ক্ষমতা খুবই কম, তাই ঈশ্বর যাদের ব্যবহার করেন, তাদেরই মানুষকে পরিচালনা করতে হবে। ঠিক যেমন ভাবে ঈশ্বর ব্যবহার করেছিলেন মোশিকে, যার মধ্যে তিনি এমন অনেক গুণাবলী আবিষ্কার করেছিলেন যা সেই সময়ে ব্যবহারের উপযুক্ত ছিল, এবং যা তিনি সেই পর্যায়ে ঈশ্বরের কাজে ব্যবহার করেন। এই পর্যায়ে মানুষকে ব্যবহার করার পাশাপাশি, ঈশ্বর তার যে অংশকে পবিত্র আত্মার কাজে লাগাতে পারেন সেই অংশেরও সদ্ব্যবহার করেন। পবিত্র আত্মা তাকে পরিচালিত করেন এবং একই সঙ্গে তার বাকি অনুপযুক্ত অংশকেও নিখুঁত করে তোলেন।

ঈশ্বর যাকে ব্যবহার করেছেন সে যে কাজ করে তা খ্রীষ্ট অথবা পবিত্র আত্মার কাজে সহযোগিতা করার জন্য। এই মানুষটিকে ঈশ্বর উন্নীত করেন তাঁর নির্বাচিত সবাইকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। তাকে ঈশ্বর উন্নীত করেন মানুষের সাথে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যেও। মানুষের সাথে সহযোগিতার কাজ সম্পাদনে সক্ষম এমন কারও মাধ্যমে, মানুষের প্রতি ঈশ্বরের চাহিদা আরও বেশি পূরণ হতে পারে এবং পবিত্র আত্মাকে মানুষের মধ্যে যে কাজ করতে হবে তা আরও বেশি করে সম্পন্ন হতে পারে। কথাটা অন্যভাবে বলা যায়: এই মানুষটিকে কাজে লাগানোর পিছনে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য হল যারা তাঁকে অনুসরণ করে তারা যাতে তাঁর ইচ্ছা আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে, আরও বেশি করে পূরণ করতে পারে তাঁর দাবি। মানুষ যেহেতু ঈশ্বরের বাক্য বা তাঁর ইচ্ছা সরাসরি বুঝতে পারে না, তাই ঈশ্বর গড়ে তুলেছেন এমন একজনকে, যাকে ব্যবহার করা হয় এই কাজ করার জন্য। ঈশ্বর যাকে ব্যবহার করেন তাকে বর্ণনা করা যায় একজন মাধ্যম হিসাবে যার সাহায্যে তিনি মানুষকে পথ দেখান, সে যেন একজন “অনুবাদক” যে ঈশ্বর আর মানুষের মধ্যে যোগাযোগ সম্পাদন করে। সুতরাং, এই ধরনের ব্যক্তি তাদের সকলের থেকে আলাদা, যারা ঈশ্বরের গৃহে কাজ করে অথবা তাঁর প্রেরিত। সে-ও তাদের মতো ঈশ্বরের সেবা করে, কিন্তু তার কাজের সারসত্য এবং যে কারণে ঈশ্বর তাকে ব্যবহার করেন সেই প্রেক্ষাপটের দিক দিয়ে অন্যান্য কর্মী এবং ঈশ্বরের প্রেরিতদের সঙ্গে তার পার্থক্য অনেক। তার কাজের সারসত্য এবং তার ব্যবহারের প্রেক্ষাপটের দিক থেকে, যে মানুষকে ঈশ্বর ব্যবহার করেন তাকে তিনি নিজেই গড়ে তোলেন। তাকে ঈশ্বর তৈরি করেন ঈশ্বরের নিজেরই কাজের জন্য। সে সাহায্য করে স্বয়ং ঈশ্বরের কাজে। তার পরিবর্তে আর কেউ তার কাজ করতে পারবে না। ঐশ্বরিক কাজের পাশাপাশি মানুষের এই সহযোগিতা অপরিহার্য। এদিকে, অন্যান্য কর্মী অথবা প্রেরিতরা যে কাজ করেন তা কেবল প্রতি যুগে গির্জাগুলোর জন্য নানা ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানানো ও সেগুলো রূপায়ণ করা, অথবা গির্জার জীবন বজায় রাখার উদ্দেশ্যে জীবনের কিছু সাধারণ সংস্থানের কাজ। এইসব কর্মী এবং প্রেরিতদের ঈশ্বর নিযুক্ত করেন না। পবিত্র আত্মা যাদের কাজে লাগান এদের তা-ও বলা যাবে না। গির্জাগুলোর মধ্য থেকে তাদের বেছে নেওয়া হয়। তারপর কিছুদিন ধরে প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনের পরে যোগ্যদের বহাল রাখা হয়। যারা অনুপযুক্ত তারা যেখান থেকে এসেছে সেখানেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু এসব মানুষকে গির্জাগুলোর ভিতর থেকে নির্বাচন করা হয়, পথপ্রদর্শক হওয়ার পরে তাদের কারও কারও স্বরূপ প্রকাশিত হয়। এমনকি কেউ কেউ অনেক কুকর্ম করার ফলে বহিষ্কৃত হয়। অন্যদিকে যে মানুষকে ঈশ্বর ব্যবহার করেন, সে এমন এক মানুষ যাকে ঈশ্বর তৈরি করে নিয়েছেন, যার আছে বিশেষ ক্ষমতা, আছে মানবিক গুণ। পবিত্র আত্মা তাকে আগেই প্রস্তুত করেছেন এবং নিখুঁত করে তুলেছেন। পবিত্র আত্মা তাকে সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করেন। বিশেষ করে যখন তার কাজের প্রয়োজন হয় তখন পবিত্র আত্মা তাকে পরিচালনা করেন, নির্দেশ দেন। এর ফলে, যারা ঈশ্বরের নির্বাচিত তাদের পরিচালনার পথে কোনও বিচ্যুতি ঘটে না, কারণ নিশ্চিতভাবেই ঈশ্বর নিজের কাজের দায়িত্ব নিজেই নেন, এবং সবসময়ই ঈশ্বর নিজের কাজই করেন।

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন