ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কাজ | উদ্ধৃতি 68

আমি আমার কার্য অইহুদি দেশগুলির মধ্যে বিস্তার করে চলেছি। আমার মহিমার ঝলক সমগ্র বিশ্ব-চরাচরে প্রদীপ্ত হয়ে উঠছে; সমস্ত ইত্যবিধ মানুষ আমার ইচ্ছা নিজেদের মধ্যে ধারণ করছে, তারা আমারই হস্তদ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, আমারই নির্ধারিত কর্মপ্রবাহে তারা লিপ্ত। এই সময় থেকে, আমি এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছি, সাথে সমস্ত মানুষদের এক নতুন পৃথিবীতে এনেছি। “স্বদেশ”-এ, আমি আমার মূল কর্ম প্রবাহের এক নতুন অংশের সূচনা করেছি, যাতে মানুষ আমাকে আরও গভীরভাবে জানতে পারে। আমি মহাবিশ্বকে তার সমগ্রতার নিরিখে বিবেচনা করে দেখেছি যে এটাই আমার কার্য সম্পাদনের উপযুক্ত সময়। সেই কারণেই মানুষের ওপর আমার নতুন কার্য সম্পাদনের জন্য আমি এতো তৎপর। যতই হোক, এটি একটি নতুন যুগ এবং আমার নতুন কাজ হলো এই নতুন যুগে আরও অনেক নতুন মানুষদের নিয়ে আসা, এবং যাদের আমি বহিষ্কার করব, তাদের মধ্য থেকে আরো বেশিজনকে পরিত্যাগ করা। অতিকায় লাল ড্রাগনের দেশে আমি আমার কাজের এক সুগভীর পর্যায় সুসম্পন্ন করে ফেলেছি যা মানুষের কল্পনাতীত, যাতে তারা হাওয়ায় দোল খায়, আর তারপর অনেকেই ধীরে ধীরে এই হাওয়ার বেগেই নিঃশব্দে দূরে চলে যায়। প্রকৃতপক্ষে, এটাই হলো সেই “নির্বাচনের স্থান”, যা আমি পরিষ্কার করতে চাই; এটাই আমার আকাঙ্ক্ষিত এবং আমার পরিকল্পনাও বটে। আমার কার্য সম্পাদনকালে অনেক দুর্নীতিপরায়ণ মানুষ ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করলেও, তাদের বিতাড়নের জন্য আমার কোনও তাড়া নেই। বরং, উপযুক্ত সময়ে আমি তাদের বিতাড়নের কার্য সমাধা করবো। শুধুমাত্র এই কার্য সমাধার পরেই আমি প্রাণের প্রস্রবণ হয়ে উঠবো। যারা আমাকে প্রকৃত ভালোবাসে, তাদের আমি ডুমুর গাছের ফল আর লিলি ফুলের সুমিষ্ট সুবাস আস্বাদনের সৌভাগ্য প্রদান করবো। ধূলিময় দেশে, যেখানে শয়তানের আবাসস্থল, সেখানে খাঁটি সোনার পরিবর্তে কেবল রয়েছে বালি, আর এই পরিস্থিতিতেই আমি আমার কর্মধারার এই পর্যায় সম্পন্ন করছি। তোমাদের জানা উচিত, আমি কেবল খাঁটি, পরিশুদ্ধ সোনাই গ্রহণ করি, বালি নয়। তাহলে আমার আবাসস্থলে কি দুর্নীতিপরায়ণ মানুষেরা স্থান পেতে পারে? আমি কি ধূর্ত শৃগালদের আমার স্বর্গলোকে পরজীবীদের মতো ঠাঁই দিতে পারি? আমি সর্বতোভাবে তাদের বিতাড়নের প্রচেষ্টা করি। আমার ইচ্ছা প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে, আমি কী করতে চলেছি তা কেউ জানতে পারে না। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই আমি সেই সব দুর্নীতিপরায়ণদের বিতাড়িত করি, আর তারা আমার উপস্থিতি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। আমি দুর্নীতিপরায়ণদের সাথে এটাই করে থাকি। কিন্তু তা সত্ত্বেও, আমার সেবা করার মতো দিন তাদের কাছে ঠিকই আসবে। মানুষদের মধ্যে আশীর্বাদ-প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা খুবই প্রবল; তাই আমি ঘুরে দাঁড়িয়ে অইহুদিদের আমার মহিমাময় উপস্থিতি প্রদর্শন করি, যাতে তারা নিজেদের জগতে থেকেই নিজেদের বিচার করতে পারে, আর আমি আমার উচিত-বাক্যসমূহ প্রকাশ করে যেতে পারি এবং মানুষের যা প্রয়োজন তা সরবরাহ করে যেতে পারি। মানুষ যতক্ষণে সচেতন হবে, আমার কার্য তার অনেক আগেই বিপুল পরিমাণে বিস্তার লাভ করে ফেলবে। তারপরেই আমি মানুষের সামনে আমার ইচ্ছা প্রকাশ করবো, আর তাদের ওপর আমার কর্মধারার দ্বিতীয় অংশের সূচনা করবো, আমার কাজের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখতে আমি তাদের সুষ্ঠুভাবে আমাকে অনুসরণ করতে দেবো, এবং আমার অবশ্যকর্তব্য সম্পাদনকালে তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী আমার পাশে থাকতে দেবো।

—বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, সপ্ত বজ্রের নিনাদ—ভবিষ্যদ্বাণী করছে যে রাজ্যের সুসমাচার মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে

প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।

সম্পর্কিত তথ্য

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: মানবজাতির দুর্নীতি উদ্ঘাটিত করা | উদ্ধৃতি 321

তোমরা কামনা কর ঈশ্বর তোমাদের নিয়ে পুলকিত হবেন, তথাপি তোমরা ঈশ্বর থেকে অনেক দূরে রয়েছো। এখানে বিষয়টা কী? তোমরা শুধু তাঁর বাক্যকেই গ্রহণ...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: ঈশ্বরের স্বভাব এবং তিনি কে ও তাঁর কী আছে | উদ্ধৃতি 259

ঈশ্বর এই জগত সৃষ্টি করেছেন, সেখানে এনেছেন মানুষ নামক এক জীব, যাদের মধ্যে তিনি প্রাণ সঞ্চার করেছেন। তারপর, মানুষ পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজন লাভ...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 453

সংকল্প করলে সবাই ঈশ্বরের সেবা করতে পারে—কিন্তু যারা ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতি সম্পূর্ণ যত্নশীল এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা উপলব্ধি করতে পারে, একমাত্র...

ঈশ্বরের প্রতিদিনের বাক্য: জীবনে প্রবেশ | উদ্ধৃতি 555

ঈশ্বরের দ্বারা নিখুঁত হওয়া শুধু ঈশ্বরের বাক্য ভোজন ও পান করায় সীমিত থাকতে পারে না। তাহলে সেই অভিজ্ঞতা হবে খুবই একপাক্ষিক, তাতে খুব সামান্যই...

Messenger-এর মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন