অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচার কার্য মানবজাতিকে কীভাবে শুদ্ধ করে এবং রক্ষা করে?
মানুষ বুঝতে পেরেছে যে পৃথিবীর ওপরে মহা বিপর্যয় নেমে এসেছে আর যারা আশা করছে প্রভু মেঘে চড়ে আসবেন তারা উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছে। তবে বহু বছর...
ঈশ্বরের আবির্ভাবের জন্য যারা আকুলভাবে অপেক্ষা করছেন তাদের সবাইকে স্বাগত জানাই!
সারা বিশ্ব জুড়ে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, প্রভুতে বিশ্বাসীরা শ্বাস রোধ করে মেঘারোহণে প্রভু যীশুর আসার এবং তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বিপর্যয় থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে আকাশে নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করছে। যা হোক, তারা এখনো প্রভু যীশুকে মেঘারূঢ় হয়ে নেমে আসতে দেখেনি, তার বদলে, পূর্বের বজ্রালোক ক্রমাগত সাক্ষ্য বহন করছে যে তিনি প্রত্যাবর্তন করেছেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অবতাররূপে, মানুষকে পরিশুদ্ধ ও রক্ষা ক রার জন্য অন্তিম দিনের বিচারের জন্য সত্য প্রকাশ করছেন। অনেক মানুষের কাছেই এ চরম বিস্ময়কর। তারা ভাবে, “প্রভুর প্রথমেই বিশ্বাসীদের আকাশে নিয়ে যাওয়ার কথা। আমাদের সর্বাগ্রে বিপর্যয় থেকে বাঁচানো গুরুত্বপূর্ণ। কেন ঈশ্বর অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ করতে সত্য প্রকাশ করবেন? আ দের সবার পাপ ক্ষমা করা হয়েছে এবং ঈশ্বরের দ্বারা ন্যায়পরায়ণ বলে বিবেচিত হয়েছি, তাহলে ঈশ্বরের বিচারের প্রয়োজন কী?” বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচার অবিশ্বাসীদের ল ক্ষ করে নেমে আসবে, বিচার হল ভৎর্সনা ও ধ্বংস, এবং আমাদের মধ্যে যাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে তাদের বিচার করার প্রয়োজন নেই। তাহলে ঈশ্বরের বিচার মানবজাতির পরিশোধন ও পরিত্রাণের জন্য নাকি তা ভৎর্সনা ও ধ্বংসের জন্য? আজ এই নিয়ে কথা বলা যাক।
কিন্তু এ বিষয়ে প্রবেশের আগে, অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচারের কোনো বাইবেলসম্মত ভিত্তি আছে কিনা তা নিয়ে কথা বলা যাক। বস্তুত, বাইবেলের বহু ভবিষ্যদ্বাণীতে এর উল্লেখ আছে, প্রভুর নিজের মুখে করা ভবিষ্যদ্বাণী: “যে আমার বাণী গ্রহণ না করে আমাকে প্রত্যাখ্যান করে তার বিচার হবে অন্যভাবে। শেষের দিনে আমার মুখনিঃসৃত সেই বাণীই হবে তার বিচারক” (যোহন ১২:৪৮)। “পিতা কারও বিচার করেন না, বিচারের ভার সম্পূর্ণরূপে তিনি পুত্রকেই দান করেছেন। … মানবপুত্ররূপে বিচারের অধিকারও তিনি তাঁকে দিয়েছেন” (যোহন ৫:২২, ২৭)। “তোমাদের আরও অনেক কথা আমার বলার আছে কিন্তু এখন তোমাদের পক্ষে তা হৃদয়ঙ্গম করা কঠিন। সেই সত্যের আত্মা যখন আসবেন তিনিই তখন তোমাদের পূর্ণ সত্যের উপলব্ধি দান করবেন” (যোহন ১৬:১২-১৩)। “তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ, সেই সত্যের দ্বারা তুমি তাদের শুচিশুদ্ধ কর” (যোহন ১৭:১৭)। এবং প্রকাশিত বাক্যেও বলা আছে: “এর পর আমি মধ্যাকাশে উ্জীন এক স্বর্গদূতকে দেখলাম। তাঁর কাচে রয়েছে শাশ্বত সুসমাচার, পৃথিবীর সর্বজাতি, গোষ্ঠী, সমাজ ও ভাষাভাষী লোকের কাছে প্রচাএরর জন্য। তিনি উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করেলন, ‘ঈশ্বরকে সম্ভ্রম কর, তাঁর মর্যাদা স্বীকার কর, কারণ তাঁর বিচাররে লগ্ন সমুপস্থিত’” (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬-৭)। এগুলি অত্যন্ত স্পষ্ট, তাই না? প্রভু দেহরূপে মনুষ্যপুত্র হয়ে প্রত্যাবর্তন করেন অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ সম্পন্ন করতে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলিতে উল্লিখিত আছে, “শেষের দিনে আমার মুখনিঃসৃত সেই বাণীই হবে তার বিচারক,” এবং “তিনিই তোমাদের পূর্ণ সত্যের উপলব্ধি দান করবেন,” যাতে মানুষ স্পষ্টতই দেখতে পায় যে ঈশ্বর অন্তিম সময়ে সত্যের প্রয়োগ করেন বিচার ও পরিশোধনের জন্য, আমাদের সকল সত্যে চালিত করতে, যাতে মানবজাতি পাপমুক্ত হয়ে ঈশ্বরের সম্পূর্ণ উদ্ধার প্রাপ্ত হয়। পিতর ১ ৪:১৭-এ বলা আছে, “বিচারের কাল সমাগত, ঈশ্বরের আপনজনদের দিয়েই তা হবে শুরু।” এর অর্থ ঈশ্বর তাঁর বিচারের কাজ তাঁর গৃহ থেকে শুরু করেন, এটা শুরু হবে তাদের দিয়ে যারা অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচার স্বীকার করেছে। এই হল ঈশ্বরের গৃহ থেকে বিচার শুরু হওয়ার অর্থ। যারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে স্বীকার করেছে, তাদের সবার ঈশ্বরের বাক্যের বিচারও স্বীকার করতে হবে, এবং শুধুমাত্র পরিশুদ্ধ হওয়ার পরেই তারা তাঁর রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। যারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে স্বীকার করার দাবি করে, কিন্তু বিচারের দ্বারা পরিশুদ্ধ হয়নি তারা অবশেষে অপসারিত ও বিপর্যয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। বিপর্যয়ের মাধ্যমে অবিশ্বাসীদের মোকাবিলা করা হবে কারণ যারা ঈশ্বরের বিচারকে প্রত্যাখ্যান করে তারা কখনো পরিশুদ্ধ হতে বা পরিত্রাণ অর্জন করতে পারে না। তারা ভৎর্সনা পাবে ও তারপর ধ্বংস হবে। এর থেকে আমরা দেখতে পাই যে অন্তিম সময়ে ঈশ্বরের বিচারের কাজ মানুষকে যতটা সম্ভব রক্ষা করার জন্য। তারা প্রভুতে বিশ্বাসী হোক বা না হোক, যতক্ষণ তারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারকে গ্রহণ করছে ও পরিশুদ্ধ হচ্ছে, ঈশ্বর তাদের সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করবেন। যারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারের কাজ প্রত্যাখ্যান করবে তারা সকলে ভৎর্সনা পাবে এবং অপসারিত হবে, এবং কেবলমাত্র বিপর্যয়কবলিতই হতে পারে। ঈশ্বরের বিচারের কাজের পরিণতি দেখে তাকে ভৎর্সনা ও ধ্বংসের সমান মনে করা কি ঠিক? এ এক বিরাট ভুল। ঈশ্বরের বিশ্বাসীদের রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার কাজ বিচার ও পরিশোধনের দ্বারা সম্পূর্ণ পরিত্রাণের মাধ্যমে হয়। এ কি অবিশ্বাস্যরকম অর্থপূর্ণ নয়? তাহলে এত মানুষ তা দেখতে পায় না কেন? যদি ঈশ্বরের বিচার মানুষকে ভৎর্সনা ও দণ্ড দেওয়ার জন্য হত, সে কাজের তাৎপর্য কী হত? ঈশ্বর সরাসরি বিপর্যয় বর্ষিত করে মানুষকে ধ্বংস করতে পারতেন। অতিরিক্ত শ্রমের দরকার কী? অনেক মানুষ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারের কাজের কথা শোনে এবং তার পর্যালোচনা পর্যন্ত করে না, বরং সরাসরিভাবে এর বিচার ও নিন্দা করে। এ কি ঔদ্ধত্য নয়? বিশ্বাসীরা বাইবেলের উপাসনা করে ও সবকিছুই তার ভিত্তিতে দেখে। কেন তারা দেখতে পায় না যে ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ সম্পূর্ণরূপে তার সঙ্গে সুসঙ্গত? বাইবেলে ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারের কাজের কত ভবিষ্যদ্বাণী আছে। তারা কেন এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি লক্ষ করে না? যেভাবেই তুমি তা দেখ না কেন, যে কেউ ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ স্বীকার করে না, সে অন্ধ এবং মুর্খ এবং সে বাইবেল বোঝে না। তারা সবাই উদ্ধত ও যুক্তিহীন। তারা ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজ স্বীকার করেনি, এবং ইতিমধ্যেই বিপর্যয়ের পূর্বে উন্নীত হওয়ার সুযোগ হারিয়েছে, এ প্রভু যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীকেই সার্থক করে: “যার আছে তাকে আরও দেওয়া হবে, তার বাড়বাড়ন্ত হবে। যার নেই তার যা আছে তাও তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে। তোমরা এই অপদার্থ ভৃত্যকে বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও। সেখানে অনুশোচনা ও আক্ষেপের আর্তস্বর শোনা যাবে” (মথি ২৫:২৯-৩০)।
কেন বিশ্বাসীদের ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তি ভোগ করতে হবে? এ হল আরেক আখ্যান যা অনেকে বোঝে না, অতএব দেখা যাক সর্বশক্তিমান ঈশ্বর এ বিষয়ে কী বলেছেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “যদিও যীশু মানুষের মধ্যে অনেক কাজ করেছিলেন, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র সমস্ত মানবজাতির মুক্তি সম্পূর্ণ করেছিলেন এবং মানুষের পাপস্খালনের বলি হয়েছিলেন; তিনি মানুষকে তার সমস্ত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে মুক্তি দেননি। শয়তানের প্রভাব থেকে মানুষকে পুরোপুরি মুক্ত করার জন্য শুধু যীশুর পাপস্খালনের বলি হওয়া আর মানুষের পাপ বহন করার প্রয়োজন ছিল তাই নয়, বরং মানবজাতিকে সম্পূর্ণরূপে তার শয়তানোচিত ভ্রষ্ট স্বভাব থেকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বরের আরো মহত্তর কর্মের প্রয়োজন ছিল। এবং তাই, এখন যখন মানুষ তার পাপের ক্ষমা পেয়েছে, ঈশ্বর মানুষকে নতুন যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেহরূপে ফিরে এসেছেন এবং শাস্তি ও বিচারের কাজ শুরু করেছেন। এই কাজ মানুষকে এক উচ্চতর জগতে নিয়ে এসেছে। যারা তাঁর রাজত্বের অধীনে আত্মসমর্পণ করে তারা উচ্চতর সত্য উপভোগ করবে এবং বৃহত্তর আশীর্বাদ লাভ করবে। তারা প্রকৃতপক্ষেই আলোতে বাস করবে, এবং তারা সত্য, পথ ও জীবন লাভ করবে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ভূমিকা)।
“মুক্তিলাভের পূর্বে শয়তানের অনেক বিষ ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে রোপণ করা হয়েছিল, এবং হাজার হাজার বছর ধরে শয়তানের দ্বারা কলুষিত হওয়ার পর তার মধ্যে এক ঈশ্বরবিরোধী চরিত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। অতএব, মানুষ যখন মুক্তিলাভ করে, তা এমন এক মুক্তির চেয়ে বেশি কিছুই নয়, যেখানে তাকে উচ্চ মূল্যে ক্রয় করা হয়, কিন্তু তার বিষাক্ত চরিত্র নির্মূল হয় নি। মানুষ, যে এত অপবিত্র, ঈশ্বরের সেবা করার যোগ্য হওয়ার আগে তাকে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই বিচার ও শাস্তিদানের কার্যের মাধ্যমে মানুষ নিজের ভিতরের কলুষিত ও ভ্রষ্ট সত্তার সম্বন্ধে জানতে পারবে, এবং সে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত ও শুদ্ধ হতে সক্ষম হবে। একমাত্র এই উপায়েই মানুষ ঈশ্বরের সিংহাসনের সম্মুখে প্রত্যাবর্তনের যোগ্য হয়ে উঠবে। এখনকার দিনে যে সমস্ত কার্য সম্পাদিত হয়, তা সকলই মানুষকে শুদ্ধ ও পরিবর্তিত করার জন্য; বাক্য দ্বারা বিচার ও শাস্তির মাধ্যমে, এবং সেইসাথে শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে, মানুষ যাতে কলুষতা দূর করতে ও পরিশুদ্ধ হতে পারে। এই পর্যায়ের কাজকে পরিত্রাণের কাজ হিসেবে গণ্য না করে বরং শুদ্ধিকরণের কাজ বললে বেশি যথার্থ হবে। আসলে, এই পর্যায়টি হল বিজয়লাভের পর্যায়, এবং সেইসাথে পরিত্রাণের কার্যের দ্বিতীয় পর্যায়। মানুষ বাক্য দ্বারা বিচার ও শাস্তির মাধ্যমে ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হওয়ার গন্তব্যে পৌঁছয়, এবং বাক্যের ব্যবহারের দ্বারাই শুদ্ধি, বিচার ও প্রকাশ ঘটে মানুষের হৃদয়ের অন্তর্নিহিত অশুদ্ধতা, ধারণা, উদ্দেশ্য, ও স্বতন্ত্র আকাঙ্ক্ষা, এই সবের। মানুষ যে কারণে হয়তো মুক্তিলাভ করেছে ও তার পাপের ক্ষমা পেয়েছে, তার কারণ একমাত্র এটাই হতে পারে যে, ঈশ্বর মানুষের অপরাধ মনে রাখেন নি, এবং মানুষের সঙ্গে সেই অপরাধেরসাথে সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবহার করেননি। তথাপি, একজন মানুষ, যে একটি রক্ত-মাংসের দেহে বাস করে, যে এখনো পাপ থেকে মুক্তি পায়নি, সে শুধুমাত্র অবিরাম তার ভ্রষ্ট শয়তানোচিত স্বভাব প্রকাশ করে পাপ করে যেতে পারে। মানুষ পাপ করা এবং ক্ষমা প্রাপ্ত হওয়ার এই অবিরাম চক্রে জীবনযাপন করে চলে। মানবজাতির অধিকাংশই সকালে পাপ করে সন্ধ্যায় তা স্বীকার করে নেওয়ার জন্য। অতএব, যদিও পাপ-উৎসর্গ মানুষের জন্য সর্বদা কার্যকর, কিন্তু তা মানুষকে পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারবে না। পরিত্রাণের কার্যের কেবল অর্ধমাত্রই সম্পন্ন হয়েছে, কারণ মানুষের মধ্যে এখনো ভ্রষ্ট স্বভাব রয়ে গেছে। … এটি পাপের চেয়েও গভীরতর, যা শয়তান দ্বারা রোপিত এবং মানুষের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত। নিজের পাপের বিষয়ে অবগত হওয়া মানুষের জন্য খুব সহজ নয়; তার নিজের গভীরে প্রোথিত চরিত্র চিনতে পারার কোনো উপায় তার নেই, এবং এই ফলাফল লাভের জন্য তাকে বাক্যের বিচারের উপর নির্ভর করতেই হয়। একমাত্র এভাবেই সেইখান থেকে মানুষ ধীরে ধীরে পরিবর্তনের পথে এগোতে পারে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, অবতাররূপের রহস্য (৪))।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যগুলি স্পষ্ট। অনুগ্রহের যুগে প্রভু যীশু উদ্ধারের কাজ করেছিলেন, তাঁর পরিত্রাণের কাজের প্রথমার্ধ মাত্র সম্পাদন করেছিলেন। প্রভুতে বিশ্বাসের অর্থ মানুষের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে ও তারা আইনের দ্বারা দণ্ডিত হবে না, এবং তারা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা ও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার অনুমোদন পেয়েছে, যাতে তাঁর অনুগ্রহ ও আশীর্বাদ লাভ হয়। এই হল উদ্ধারের কাজের অর্জন। কিন্তু তাদের পাপের ক্ষমা প্রাপ্তি সত্ত্বেও, মানুষ বিরত থাকতে পারে না মিথ্যাভাষণ ও পাপ, ব্যক্তিগত লাভের জন্য সংগ্রাম, ঈর্ষা ও আত্মকলহ, বিচারপ্রবণ ও ঘৃণাপূর্ণ হওয়া থেকে। তারা ঈশ্বরের বাক্যের অনুশীলন করতে চায় কিন্তু পারে না। তারা পাপ করা, স্বীকার করা ও পুনরায় পাপ করার এক দুষ্টচক্রে বাস করছে, এ থেকে মুক্ত হতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম। এর থেকে দেখা যায় যে ঈশ্বর মানুষের পাপ ক্ষমা করলেও, আমাদের পাপী প্রকৃতি আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে। এই হল আমাদের শয়তানসুলভ প্রকৃতি এবং স্বভাব যা আমাদের পাপের পথে নিয়ে যায়। যদি পাপের শিকড় নির্মূল না হয়, কারও পাপ যতবারই ক্ষমা করা হোক তারা কখনোই পাপমুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে উঠবে না। তারা পাপ করা ও ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করা থেকে বিরত হতে পারে না। ফরিশীদের কথা ভাবো। তারা মন্দিরে ঈশ্বরের উপাসনা করত এবং সর্বদাই অর্ঘ্য নিবেদন করত, কিন্তু প্রভু যীশু যখন আবির্ভূত হয়ে কাজ করছিলেন তারা তাঁকে স্বীকার করেনি। তারা তীব্রভাবে বিরোধিতা করে ও তাঁর নিন্দা করে, এবং, এমনকী, তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করে এক জঘন্য পাপ করে। এ থেকে আমরা কী দেখতে পাই? শয়তানসুলভ প্রকৃতির বশে, ক্ষমার জন্য কেউ যতই করুক পাপস্খালনের বলি, তারা কুকাজ করেই যায়। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আবির্ভূত হয়েছেন এবং লক্ষাধিক সত্য প্রকাশ করে ঈশ্বরের গৃহ থেকে বিচারের কাজ শুরু করেছেন। বিপর্যয়ের আগেই তিনি জয়ীদের একটি দল প্রস্তুত করেছেন, যাতে ঈশ্বরের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা সম্পূর্ণ প্রকট হয়েছে ও সমগ্র বিশ্বকে আলোড়িত করেছে। কত ধার্মিক মানুষ আদৌ সন্ধান বা পর্যালোচনা করে না, বরং নিজেদের ধারণা আঁকড়ে থাকে, ঈশ্বরের নতুন কাজের নিন্দা, তাকে প্রতিরোধ ও কটূভাষণ করতে কসুর করে না, প্রাণপণ সেই খ্রীষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করতে চায় যিনি আবার সত্য প্রকাশ করছেন। এর থেকে দেখা যায় যে যদিও মানুষের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে, তাদের শয়তানসুলভ প্রকৃতির কারণে, তারা আজও তীব্রভাবে ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করে ও তাঁকে শত্রু হিসেবে দেখে। ঈশ্বরের ধার্মিক, পবিত্র স্বভাব কোনো অপরাধ সহ্য করবে না, তাহলে তিনি এমন কাউকে কি তাঁর রাজ্যে নিয়ে যাবেন যে পাপমুক্ত হয়েছে কিন্তু তাঁকে ক্রমাগত প্রতিরোধ করে? মোটেই না। ঠিক যেমন প্রভু যীশু বলেছেন, “তোমাদের আমি সত্যই বলছি, পাপ যে করবে সে-ই পাপের ক্রীতদাস। পরিবারে ক্রীতদাসের স্থান চিরস্থায়ী নয় কিন্তু পুত্রের স্থান চিরকালের” (যোহন ৮:৩৪-৩৫)। “অতএব তোমরা পবিত্র হও, কারণ আমি পবিত্র” (লেবীয় পুস্তক ১১:৪৫)। এবং বাইবেলও বলছে, “পবিত্রতা ছাড়া কোন মানুষ প্রভুকে দেখতে পাবে না” (হিব্রু ১২:১৪)। “সত্যের পরিচয় লাভ করার পর যদি আমরা স্বেচ্ছায় পাপ করি, তাহলে সেই পাপ স্খালনের জন্য কোন বলিদানের ব্যবস্থা নেই” (হিব্রু ১০:২৬)। ঈশ্বরের পবিত্র, ধার্মিক স্বভাবে অলঙ্ঘ্য। যারা ঈশ্বরকে প্রতিরোধ করে তারা দণ্ডিত ও ধ্বংস হবে, এবং কখনোই ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশাধিকার পাবে না। যখন প্রভু যীশু অন্তিম সময়ে প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা আমাদের স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছিল না, এবং তা অবিশ্বাসীদের সরাসরিভাবে বিপর্যয়ের মাধ্যমে ভৎর্সনা ও ধ্বংস করার জন্যও ছিল না। তা ছিল সত্য প্রকাশ করা ও বিচার করার মানুষের শয়তানোচিত স্বভাবের, প্রথমে মানবজাতিকে অশুভ ও শয়তানের শক্তি থেকে রক্ষা করতে, যাতে আমরা সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের অভিমুখী হতে পারি এবং তাঁর দ্বারা অর্জিত হতে পারি, এবং তারপর তাঁর রাজ্যে আনীত হতে পারি। তখন ঈশ্বরের পরিত্রাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে। যদি ঈশ্বরের বিচার, মানুষ যেমন মনে করে, সেই অনুযায়ী শুধু মানবজাতিকে শাস্তিপ্রদান ও ধ্বংসের জন্য হত, তাহলে ভ্রষ্ট মানবতার কেই বা বাকী থাকত? সকলেই কি পাপ করা ও ঈশ্বরের বিরোধিতার জন্য তাঁর দ্বারা ধ্বংস হত না? যদি তা হত তাহলে মানুষের পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বরের পরিকল্পনা কি অর্থহীন হয়ে যেত না? এই কারণেই অন্তিম সময়ে তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী মানুষকে রক্ষা করতে ঈশ্বর পুনরায় আবির্ভূত হয়েছেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বিনয়ের সঙ্গে মানুষের মাঝে লুকিয়েই এত সত্য প্রকাশ করেছেন, ঈশ্বরের গৃহ থেকে শুরু করে বিচারের কাজ করছেন, যাতে যারা ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ স্বীকার করে তাদের সবাইকে পরিশুদ্ধ ও রক্ষা করা যায়। এ হল এই কারণে যাতে আমরা অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি পাই ও পরিশুদ্ধ হতে পারি, ঈশ্বরের রাজ্যে আনীত হওয়ার যোগ্য হতে পারি। ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ মোটেই মানুষকে ভৎর্সনা ও ধ্বংস করার জন্য নয়, বরং সম্পূর্ণ শুদ্ধি ও পরিত্রাণের জন্য। ঈশ্বরের ইচ্ছা উপলব্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বরের বিচারের কাজ তাঁর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারকে স্বীকার করাই হল একমাত্র পথ যাতে আমরা দুর্নীতিমুক্ত হতে পারি, পরিশুদ্ধ হতে পারি এবং বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পারি।
কেউ এ প্রশ্ন তুলতে পারে: কী করে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁর বিচারের কাজের দ্বারা মানবজাতিকে পরিশুদ্ধ ও রক্ষা করেন? আমরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যে এর জবাব পেতে পারি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর বলেছেন, “অন্তিম সময়ে খ্রীষ্ট মানুষকে শেখানোর জন্য, মানুষের উপাদান প্রকাশ করার জন্য এবং মানুষের কথা ও কাজের বিশ্লেষণ করার জন্য বিভিন্ন সত্য ব্যবহার করেন। এই বাক্যে বিভিন্ন সত্য অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেমন মানুষের কর্তব্য কী, কীভাবে মানুষের ঈশ্বরকে মান্য করা উচিত, কীভাবে মানুষের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা উচিত, কীভাবে মানুষের স্বাভাবিক মানবতাসম্পন্ন জীবনযাপন করা উচিত, সেইসাথে থাকে ঈশ্বরের প্রজ্ঞা এবং স্বভাব ইত্যাদি বিষয়সমূহ। এই সমস্ত বাক্য মানুষের উপাদান এবং তার ভ্রষ্ট স্বভাবের দিকেই ইঙ্গিত করে। বিশেষ করে, সেই সমস্ত বাক্য, যা অনাবৃত করে মানুষ কীভাবে ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তা আসলে এ সম্পর্কে কথা বলে যে কীভাবে মানুষ শয়তানের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রু শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাঁর বিচারকার্যের সময়, ঈশ্বর কেবলমাত্র কয়েকটি বাক্যের মাধ্যমে মানুষের প্রকৃতি স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন না; তিনি দীর্ঘমেয়াদে তা অনাবৃত করেন, মোকাবিলা করেন এবং তাদের অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন করেন। অনাবৃতকরণ, মোকাবিলা এবং অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তনের এই সমস্ত ভিন্ন পদ্ধতি সাধারণ বাক্য দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা যায় না, সেই সত্যের দ্বারাই প্রতিস্থাপিত করা যায় যার সম্পর্কে মানুষ একেবারেই অসচেতন। শুধুমাত্র এই ধরনের পদ্ধতিকেই প্রকৃত বিচার বলা যেতে পারে; শুধুমাত্র এই ধরনের বিচারের মাধ্যমেই মানুষ ঈশ্বরের প্রতি অনুগত হতে পারে, তাঁর সম্বন্ধে দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত হতে পারে, এবং ঈশ্বর সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারে। এই বিচারের কাজই প্রতিফলিত করে ঈশ্বরের আসল চেহারা সম্পর্কে মানুষের উপলব্ধি, এবং তার নিজের বিদ্রোহের সত্য। বিচারের কাজ মানুষকে ঈশ্বরের ইচ্ছা, তাঁর কাজের উদ্দেশ্য এবং তাঁর দুর্বোধ্য রহস্য সম্পর্কে অনেক বেশি করে বোঝার সুযোগ দেয়। এটি মানুষকে নিজের ভ্রষ্ট সারসত্য এবং সেই ভ্রষ্টাচরণের মূল চিনতে ও জানতে শেখায়, এবং সেইসাথে মানুষের কদর্যতা আবিষ্কার করতে শেখায়। এই সমস্ত প্রভাব বিচারের কাজের মাধ্যমে প্রতিভাত হয়, কারণ এই কাজের সারসত্য হল সত্য, পথ এবং ঈশ্বরের জীবনকে তাঁর অনুগামীদের কাছে উন্মুক্ত করার কাজ। এই কাজ ঈশ্বরের বিচারের কাজ” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, খ্রীষ্ট সত্যের দ্বারাই বিচারের কাজ করেন)।
“ঈশ্বরের দ্বারা মানুষের নিখুঁতকরণ কী উপায়ে সাধিত হয়? ঈশ্বরের ধার্মিক স্বভাবের দ্বারা এটি সাধিত হয়। ঈশ্বরের স্বভাব মূলত ন্যায়পরায়ণতা, ক্রোধ, মহিমা, বিচার এবং অভিশাপের সমন্বয়ে গঠিত এবং তিনি মূলত তাঁর বিচারের মধ্য দিয়ে মানুষকে নিখুঁত করেন। কিছু লোক উপলব্ধি করতে পারে না, এবং জিজ্ঞাসা করে যে ঈশ্বর কেন শুধুমাত্র বিচার এবং অভিশাপের মাধ্যমে মানুষকে নিখুঁত করতে সক্ষম। তারা বলে, ‘ঈশ্বর যদি মানুষকে অভিশাপ দিতেন, তাহলে মানুষ কি মারা যেত না? ঈশ্বর যদি মানুষের বিচার করতেন, তাহলে মানুষ কি নিন্দিত হত না? তাহলে কীভাবে তাকে এখনও নিখুঁত করে তোলা সম্ভব?’ এগুলি এমন লোকেদের বাক্য যারা ঈশ্বরের কর্ম সম্পর্কে অবহিত নয়। ঈশ্বর যার প্রতি অভিশাপ দেন তা হল মানুষের অবাধ্যতা, এবং যা তিনি বিচার করেন তা হল মানুষের পাপ। যদিও তিনি রূঢ়ভাবে এবং নিরন্তর কথা বলেন, তবু তিনি মানুষের মধ্যে যা কিছু আছে তা প্রকাশ করেন, এই ধরনের কঠোর বাক্যের মধ্য দিয়ে যা কিছু মানুষের মধ্যে প্রকৃতভাবে আছে তা প্রকাশ করেন, তথাপি এই ধরনের বিচারের মাধ্যমে তিনি মানুষকে দৈহিক ভাবার্থ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান প্রদান করেন এবং এইভাবে মানুষ ঈশ্বরের নিকট আত্মসমর্পণ করে” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, শুধুমাত্র বেদনাদায়ক পরীক্ষার অভিজ্ঞতার দ্বারাই তুমি ঈশ্বরের মাধুর্য জানতে পারবে)।
“ঈশ্বর যে ভ্রষ্ট মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্যই পৃথিবীতে কাজ করতে এসেছেন; এতে কোনো মিথ্যা নেই। যদি থাকত, তবে তিনি অবশ্যই সশরীরে কাজ করতে আসতেন না। অতীতে, তাঁর পরিত্রাণের উপায়ের মধ্যে পরম ভালোবাসা এবং করুণার প্রদর্শন দেখা যেত, তার মাত্রা এমনই ছিল যে তিনি সমগ্র মানবজাতির বিনিময়ে শয়তানকে তাঁর সমস্ত কিছু দিয়ে দিয়েছিলেন। বর্তমান কিন্তু একেবারেই অতীতের মতো নয়: বর্তমানে তোমাদের যে পরিত্রাণ অর্পণ করা হয়েছে, তার আবির্ভাব অন্তিম সময়ে ঘটে, যে সময়ে প্রত্যেককে প্রকার অনুসারে শ্রেণীবিভাগ করা হয়; তোমাদের পরিত্রাণের মাধ্যম ভালোবাসা বা সমবেদনা নয়, বরং তা হল শাস্তি এবং বিচার, যাতে মানুষকে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উদ্ধার করা যায়। এইভাবে, তোমরা কেবল শাস্তি, বিচার এবং নির্দয় বেদনা পাও, কিন্তু এটা জেনে রেখো: এই নির্দয় বেদনায় কিন্তু একফোঁটাও দণ্ড নেই। আমার বাক্য যতই কঠিন লাগুক না কেন, তোমাদের ওপর কেবল আমার কয়েকটা আপাতদৃষ্টিতে প্রবলরকমের নির্দয় বাক্যই এসে পড়তে পারে, আর আমি যতই রাগান্বিত হই না কেন, তোমাদের ওপর কেবল শিক্ষার বাক্যই বর্ষিত হয়। আমি তোমাদের ক্ষতি করতে চাই না বা তোমাদের মৃত্যুমুখে পতিত করতে চাই না। এই সমস্ত কিছুই কি সত্য নয়? জেনে রাখো, আজকাল ধার্মিক বিচারই হোক, বা নির্দয় পরিমার্জনা ও শাস্তিই হোক, সবই কিন্তু পরিত্রাণের জন্যই হয়। বর্তমানে প্রত্যেককে প্রকার অনুযায়ী পৃথক করা হোক, অথবা মানুষের বিভাগগুলি প্রকাশ্যে আনা হোক—যাই হোক না কেন, ঈশ্বরের সমস্ত বাক্য এবং কাজের উদ্দেশ্য হল তাঁকে যারা ভালোবাসে, তাদের উদ্ধার করা। মানুষদের পরিশোধনের জন্যই ধার্মিক বিচার করা হয়, এবং নির্দয় পরিশোধন করা হয় তাদের নির্মল করে তোলার জন্য; কঠিন বাক্য অথবা শাস্তি—উভয়ই পরিশোধন ও পরিত্রাণের স্বার্থেই করা হয়” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, তোমার উচিত মর্যাদার আশীর্বাদকে সরিয়ে রেখে ঈশ্বরের মানুষকে পরিত্রাণ করার ইচ্ছাকে উপলব্ধি করা)।
ঈশ্বরের বাক্য পড়ার পর, ঈশ্বর কীভাবে তাঁর বিচারকার্য করেন সে বিষয়ে কি আমরা আরো স্পষ্ট হলাম না? অনেকেই ঈশ্বরের কাজ বোঝে না, তাই যখন তারা বিচার ও শাস্তি শব্দদুটি দেখে, তারা ঈশ্বরের নিন্দার কথা ভাবে। এর চেয়ে ভুল আর কিছু হতে পারে না। আইন অনুযায়ী, বিচার ছিল শুধুই দণ্ডের মাধ্যমে আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করা, কিন্তু তা মানুষের পাপী প্রকৃতির সংশোধন ছিল না। কিন্তু ঈশ্বরের বিচার মূলত সত্য প্রকাশ করার মাধ্যমে বিচার করা ও আমাদের ভেতরের শয়তানসুলভ প্রকৃতি ও স্বভাবকে প্রকাশ্যে আনা, এবং তারপর আমাদের মোকাবিলা করা, অনুশাসন করা এবং পরীক্ষা করার মতো সবরকম পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমাদের অনাবৃত করা। এর কারণ যাতে আমরা সত্যি অর্থে আমাদের ভ্রষ্ট মূলসত্তা দেখতে পাই, আমাদের দুর্নীতির বাস্তবকে দেখতে পাই, এবং তারপর নিজেদের ঘৃণা করি, দেহ থেকে মুখ ফিরিয়ে সত্যের অনুশীলন এবং প্রকৃত অনুশোচনা করি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যগুলি তী ভাবে প্রকাশ করে মানুষের শয়তানোচিত স্বভাব, আমাদের নীচ উদ্দেশ্য, কলুষিত নকলনবিশি, এবং হাস্যকর দৃষ্টিভঙ্গী। ঈশ্বরের বিচারের মুখোমুখি হয়ে, আমরা দেখি যে আমরা শুধুই আমাদের বিশ্বাসে আশীর্বাদের জন্য ক্ষুধার্ত, ঈশ্বরের প্রতি কোনো আন্তরিকতা নেই। আমরা সামান্য ত্যাগ করি, যৎসামান্য মূল্য দিই ও মনে করি যে আমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহের এবং রাজ্যে প্রবেশের যোগ্য। কিন্তু পরীক্ষার মুখোমুখি হলে, আমরা ঈশ্বরকে দোষ দিই, তর্ক করি ও তাঁর জন্য কাজও করি না। আমাদের তাঁর প্রতি কোনো আনুগত্য নেই। আমরা স্পষ্টতই সত্যের বাস্তবতাবিরহিত, বরং শুধু লোক দেখানোর জন্য ও প্রশংসা লাভের জন্য তত্ত্ব নিয়ে কথা বলি। আমরা সর্বদাই নিজেদের খ্যাতি ও মর্যাদা রক্ষা করি, এবং অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গী সত্যের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হলেও তাদের সঙ্গে একমত হতে অস্বীকার করি। আমরা উদ্ধত, একগুঁয়ে এবং সমস্ত মানবতা ও যুক্তিবোধ বিরহিত। ঈশ্বরের বাক্যের বিচারের মাধ্যমে, আমরা দেখি শয়তান কত গভীরভাবে আমাদের কলুষিত করেছে, আমরা উদ্ধত, ধূর্ত এবং মন্দ, এবং আমরা হলাম শয়তানের জীবিত প্রতিমূর্তি। আমাদের কোথাও লুকনোর নেই ও লজ্জিত বোধ করি। অনুতাপে পূর্ণ হয়ে আমরা প্রার্থনা করি ও নিজেদের তিরস্কার করি, এবং এই শয়তান প্রভাবিত কলুষের মধ্যে বাঁচার অন্ত চাই। আমরা ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতা ও পবিত্রতাও অনুভব করি, ঈশ্বর আমাদের সমস্ত কলুষ পরীক্ষা ও প্রকাশিত করবেন, তাঁর স্বভাব অলঙ্ঘ্য ও আমরা যদি পরিতাপ না করি ও পরিবর্তিত না হই তাহলে নিশ্চিতভাবে শাস্তি পাব। তখন আমরা ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধাবনত হই। বহুবার বিচার হওয়া, শাস্তি পাওয়া, অপ্রয়োজনীয় অংশের কর্তন, মোকাবিলার, পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়া ও পরিশুদ্ধ হওয়ার পর আমাদের ভ্রষ্ট স্বভাব ধীরে ধীরে পরিশুদ্ধ ও পরিবর্তিত হয়। আমরা অনেক বেশি বিনয়ী হই, আমাদের কথায় ও কাজে আরো যুক্তিপূর্ণ হই। আমরা সত্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সবকিছুই স্বীকার করি ও তাতে সমর্পণ করি, সে যার থেকেই আসুক না কেন এবং আমাদের কর্তব্যে অনেক কম অশুদ্ধি থাকে। ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাক বা না থাক, এবং আমাদের সর্বশেষ পরিণতি এবং গন্তব্য যা-ই হোক, আমরা ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করতে ও সৃষ্ট জীবের কর্তব্য করতে আগ্রহী হই। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচারের মাধ্যমে, আমরা অবশেষে পাপমুক্ত হতে পারি, প্রকৃত মানবসদৃশ জীবন যাপন করতে পারি এবং প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি। ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তিই মানবজাতির জন্য তাঁর মহত্তম ভালোবাসা ও পরিত্রাণ! এ ছাড়া, আমরা কখনো নিজেদের জানব না, এবং কখনো আমাদের কলুষিত হওয়ার সত্যকে দেখতে পাব না। আমরা আমাদের স্বপ্নেই বাঁচতে থাকব, এই ভেবে যে আমাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে বলেই আমাদের রাজ্যে অধিকার আছে, অপেক্ষা করব ঈশ্বর কবে তাঁর আশীর্বাদে প্রোজ্জ্বল হওয়ার জন্য আমাদের উন্নীত করবেন। সে খুবই অজ্ঞতা ও নির্লজ্জতার পরিচয়। আমরা প্রকৃত অর্থেই অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত হয়েছি যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচার ও শাস্তি হল কলুষমুক্ত ও পরিশুদ্ধ রাজ্যে প্রবেশের একমাত্র পথ। তুমি বলতে পারো যে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচার আমাদের পাপমুক্তির, ঈশ্বরের দ্বারা সম্পূর্ণ উদ্ধার পাওয়ার এবং তারপর রাজ্যে প্রবেশের একমাত্র পথ। ঠিক যেমন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্য বলছে, “মানুষ যদি তার জীবনে পরিশুদ্ধ হতে চায় এবং তার স্বভাবে পরিবর্তন অর্জন করতে চায়, যদি সে অর্থপূর্ণ জীবন যাপন করতে চায় এবং একটি জীব হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই ঈশ্বরের শাস্তি ও বিচারকে মেনে নিতে হবে, এবং ঈশ্বরের অনুশাসন ও ঈশ্বরের আঘাতকে তার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে দেওয়া চলবে না, যাতে সে শয়তানের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারে, এবং ঈশ্বরের আলোতে বাস করতে পারে। জেনে রাখো যে ঈশ্বরের শাস্তি এবং বিচার হল আলো, এবং মানুষের পরিত্রাণের আলো, এবং মানুষের জন্য এর চেয়ে ভাল আশীর্বাদ, অনুগ্রহ বা সুরক্ষা আর কিছু নেই” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, পিটারের অভিজ্ঞতাঃ তার শাস্তি ও বিচারের জ্ঞান)।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অন্তিম সময়ের বিচারের কাজ শুরু করার পর তিন দশক কেটে গেছে। ঈশ্বরের অনেক নির্বাচিত ব্যক্তি-ই এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে দুর্নীতিমুক্ত ও পরিশুদ্ধ হচ্ছে, এবং বিপর্যয়ের আগেই একদল বিজয়ীকে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তাদের পাপমুক্তির ও উদ্ধার পাওয়ার সুন্দর সাক্ষ্য আছে, যেমন কষ্ট ও দমন সহ্য করে শয়তানকে হারানো, ঈশ্বরের বাক্যের বিচার ও শাস্তির মাধ্যমে প্রকৃত অনুশোচনা করা, সত্যের অনুশীলন করা ও সৎ হয়ে ওঠা, পরীক্ষা ও পরিমার্জনার মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করা ও আরো অনেক কিছু। এই সাক্ষ্যগুলির ভিডিও করা হয়েছে যা অনলাইনে সুলভ, যা বিশ্বের কাছে ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজের সাক্ষ্য বহন করে, যাতে প্রত্যেকের দৃষ্টি উন্মীলিত হয় ও প্রত্যেকে নিশ্চিত হয়। প্রতিটি দেশ ও বর্গ থেকে সত্যকে ভালোবাসে এমন অধিকতর মানুষ ঈশ্বরের কণ্ঠ চিনতে পারে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যে এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে এসে। রাজ্যের সুসমাচার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে এবং দৃষ্টি আকর্ষকভাবে সফল হবে। স্পষ্টত, ঈশ্বরের নিজ গৃহ থেকে শুরু হয়ে তাঁর অন্তিম সময়ের বিচার সার্থক হচ্ছে। বিপর্যয় ইতিমধ্যেই বর্ষিত হচ্ছে, এবং যে কেউ চোখ খোলা রাখলেই দেখতে পাবে যে মহাবিপর্যয় শুরু হয়ে গিয়েছে। যারা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিচার স্বীকার করে ও যাদের কলুষ পরিশোধিত হয়েছে, তারা বিপর্যয়কালে সুরক্ষিত থাকবে ও ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করবে। যারা করে শুধুমাত্র আশীর্বাদ ও রাজ্যে প্রবেশের কথা ভাবে, সত্য এবং ঈশ্বরের বিচার বা পরিশোধন স্বীকার না করে, তারা হল আগাছা, সেই অবিশ্বাসীরা যাদের ঈশ্বরের অন্তিম সময়ের কাজের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ঈশ্বর তাদের ইতিমধ্যেই দণ্ডাজ্ঞা দিয়েছেন, এবং তারা নরকে পতিত হবে ও যখন বিপর্যয় আসবে তখন দণ্ড পাবে। এটা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বাক্যকেই পরিপূর্ণ করে: “তোমরা যখন তোমাদের নিজেদের চোখে যীশুকে স্বর্গ থেকে সাদা মেঘে চড়ে অবতীর্ণ হতে দেখবে, তা হবে ন্যায়পরায়ণতার সূর্যের জনসমক্ষে আবির্ভাব। হয়তো তোমার জন্য তা দারুণ উত্তেজনার এক মুহূর্ত হবে, তবু তোমার জানা উচিত যে, যে সময়ে তুমি স্বর্গ থেকে যীশুকে অবতীর্ণ হতে দেখবে, সেই একই সময়ে তুমিও শাস্তিভোগ করার জন্য নরকে নিমজ্জিত হবে। সেই সময়েই ঈশ্বরের পরিচালনামূলক পরিকল্পনার সমাপ্তি ঘটবে, এবং সেই সময়েই ঈশ্বর শিষ্টকে পুরস্কৃত করবেন এবং দুষ্টকে দণ্ড দেবেন। মানুষের কোনো প্রতীক দেখতে পাওয়ার আগেই ঈশ্বরের বিচার সম্পন্ন হয়ে যাবে, শুধুমাত্র সত্যের অভিব্যক্তিই থেকে যাবে। যারা প্রতীক না খুঁজে সত্যকে স্বীকার করে এবং ফলত যারা পরিশুদ্ধ, তারা ঈশ্বরের সিংহাসনের সম্মুখে ফিরে যাবে এবং সৃষ্টিকর্তার আলিঙ্গনে আবদ্ধ হবে। কেবলমাত্র যারা এই বিশ্বাসে অনড় থাকবে যে ‘যে যীশু সাদা মেঘে চড়ে আসে না, সে ভণ্ড খ্রীষ্ট’, তারা চিরকালীন দণ্ড ভোগ করবে, কারণ তারা কেবলমাত্র সেই যীশুকে বিশ্বাস করে যিনি প্রতীক প্রদর্শন করেন, কিন্তু যে যীশু কঠোর বিচার ঘোষণা করেন এবং প্রকৃত পথ ও জীবন উন্মুক্ত করেন, তাঁকে বিশ্বাস করে না। আর তাই এটাই হতে পারে যে যীশু যখন সাদা মেঘে চড়ে সবার সামনে প্রত্যাবর্তন করবেন, কেবল তখনই তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া করবেন। তারা অত্যন্ত জেদী, নিজেদের ওপর অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী, অত্যন্ত অহংকারী। এরকম অধঃপতিতেরা কীভাবে যীশুর দ্বারা পুরস্কৃত হতে পারে?” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, যতক্ষণে তুমি যীশুর আধ্যাত্মিক দেহ প্রত্যক্ষ করবে, ততক্ষণে ঈশ্বর স্বর্গ ও পৃথিবীকে নতুন করে তৈরি করে ফেলবেন)।
“অন্তিম সময়ে—অর্থাৎ পরিশোধনের চূড়ান্ত কাজ চলার সময়—ঈশ্বরের শাস্তি ও বিচারের কাজ চলাকালীন যারা অটল থাকতে সক্ষম, তারাই হবে সেই জনগণ যারা ঈশ্বরের পাশাপাশি সর্বশেষ বিশ্রামে প্রবেশ করবে; অর্থাৎ, যারা বিশ্রামের পর্যায়ে প্রবেশ করবে, তারা শয়তানের প্রভাবমুক্ত হবে এবং ঈশ্বরের শুদ্ধিকরণের অন্তিম কাজের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর তাঁর দ্বারা অর্জিত হবে। এই মানুষেরা, যারা অবশেষে ঈশ্বরের দ্বারা অর্জিত হবে, তারাই অন্তিম বিশ্রামে প্রবেশ করবে। নির্যাসগত ভাবে, ঈশ্বরের শাস্তিবিধান ও বিচারের কাজের উদ্দেশ্য হল মানবজাতিকে চরম বিশ্রামের স্বার্থে পরিশুদ্ধ করা; এই পরিশোধন ছাড়া, মানবজাতির কাউকেই প্রকার অনুযায়ী নানা শ্রেণীতে ভাগ করা যাবে না, বা বিশ্রামে প্রবেশ করানো যাবে না। এই কাজই হল মানুষের বিশ্রামে প্রবেশ করার একমাত্র পথ। শুধুমাত্র ঈশ্বরের শুদ্ধিকরণই মানুষকে তার অ-ন্যায়পরায়ণতা থেকে পরিশুদ্ধ করবে, এবং শুধুমাত্র তাঁর শাস্তিবিধান ও বিচারের কাজই মানবজাতির সেই সব আনুগত্যহীন সদস্যদের আলোয় নিয়ে আসবে, এবং এইভাবে উদ্ধারযোগ্য মানুষদের আলাদা করবে যাদের উদ্ধার করা সম্ভব নয় তাদের থেকে, এবং, যারা থেকে যাবে তাদের আলাদা করবে যারা থাকবে না তাদের থেকে। এই কাজ শেষ হলে যাদের থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই পরিশুদ্ধ হবে এবং মানবিকতার এক উন্নততর পর্যায়ে প্রবেশ করবে যে পর্যায়ে তারা পৃথিবীতে এক সুন্দরতর দ্বিতীয় জীবন উপভোগ করবে; অর্থাৎ তারা তাদের মানব জীবনের বিশ্রামের দিন শুরু করবে ও ঈশ্বরের সঙ্গে সহাবস্থান করবে। যাদের থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না, তাদের শাস্তিবিধান ও বিচার করার পর তাদের প্রকৃত চরিত্র সম্পূর্ণরূপে অনাবৃত হবে, যার পর তাদের সকলকে ধ্বংস করা হবে, এবং শয়তানের মতোই, আর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অনুমতি পাবে না। ভবিষ্যতের মানবজাতিতে এই ধরনের মানুষ আর অন্তর্ভুক্তহবে না; এই ধরনের মানুষ অন্তিম বিশ্রামের দেশে প্রবেশ করার উপযুক্ত নয়, এবং ঈশ্বর ও মানুষের যৌথ বিশ্রামের দিনে অংশ নেওয়ারও উপযুক্ত নয়, কারণ তারা শাস্তির লক্ষ্য, তারা দুষ্ট ও অ-ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি। … ঈশ্বরের দুষ্টকে শাস্তি দেওয়ার ও সাধু ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করার চূড়ান্ত কাজের সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যই হল সমস্ত মানুষকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিশুদ্ধ করা যাতে তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র এক মানবজাতিকে শাশ্বত বিশ্রাম দিতে পারেন। তাঁর এই পর্যায়ের কাজই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; এ হল তাঁর ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ কাজের অন্তিম পর্যায়” (বাক্য, খণ্ড ১, ঈশ্বরের আবির্ভাব ও তাঁর কার্য, ঈশ্বর এবং মানুষ একসাথে বিশ্রামে প্রবেশ করবে)।
প্রতিদিন আমাদের কাছে 24 ঘণ্টা বা 1440 মিনিট সময় থাকে। আপনি কি ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের জন্য তাঁর বাক্য শিখতে 10 মিনিট সময় দিতে ইচ্ছুক? শিখতে আমাদের ফেলোশিপে যোগ দিন। কোন ফি লাগবে না।👇
মানুষ বুঝতে পেরেছে যে পৃথিবীর ওপরে মহা বিপর্যয় নেমে এসেছে আর যারা আশা করছে প্রভু মেঘে চড়ে আসবেন তারা উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছে। তবে বহু বছর...
অন্তিম সময়ে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অবতার কাজ করার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন এবং বহু সত্য প্রকাশ করেছেন। ইন্টারনেটে এ কথা দেওয়ার ফলে সারা বিশ্ব...
ভাগ্যের উল্লেখমাত্র বেশীরভাগ মানুষ মনে করে যাদের প্রচুর অর্থ, প্রতিষ্ঠা আছে, যারা জীবনে সফল, তারাই সৌভাগ্যবান, এবং মনে করেন যারা দরিদ্র,...
২০০০ বছর আগে, অবতাররূপী প্রভু যীশু মানবজাতির মুক্তির জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন, পাপ উৎসর্গের রূপে এবং তাঁর মুক্তির কাজকে সম্পূর্ণ করেছিলেন।...